আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান’ স্লোগান সামনে রেখে দেয়া এই ইশতেহারে ১০ খাতে ১০৫ দফার উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ অডিটরিয়ামে শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও দু’বারের সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে বিগত সময়ে তার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। তিনি শুধু রাজশাহী শহরের উন্নয়নেরই ঘোষণা দেননি। বরং রাজশাহী অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
লিটন বলেন, ‘আমি যে উন্নয়ন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছি মেয়র হিসেবে এর প্রায় অর্ধেকটাই আমার কাজের মধ্যে পড়ে না। কিন্তু আমি যেহেতু আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীরও সদস্য, সে কারণে আমি মেয়র হলে এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নেই ভূমিকা রাখতে চাই। আমার বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা নিয়ে আমি এসব কাজ করতে পারব।’
নৌকার এই মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘একজন মেয়র হিসেবে আপনারা আমাকে দায়িত্ব দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর মানুষের উন্নয়নের জন্য প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। এই নগরীর সমৃদ্ধির জন্য শতাধিক উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। নগরীর সড়ক বর্ধিতকরণ, সৌন্দর্য বর্ধন, নাগরিক পরিষেবা নিশ্চিতকরণ, পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়নসহ শিক্ষা, চিকিৎসা, অনগ্রসর জনসমষ্টির জন্য বিশেষ প্রণোদনা, নতুন নতুন স্থাপনা প্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নতুন নতুন ক্ষেত্র প্রস্তুত করা ইত্যাদি কার্যক্রমে সুশাসন নিশ্চিত করে আপনাদের অধিকতর সেবা প্রদানে আমি সর্বদা সচেষ্ট থেকেছি। এবার নির্বাচনে তাই আমার ঘোষণা- উন্নয়ন দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান।’
ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকারসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, ক্রীড়াসহ নগরীর গুরত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।