বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্রের জন্য দেশের সাধারণ মানুষ লড়াই-সংগ্রাম করছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার এই লড়াই চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে। একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে তার অধীনে নির্বাচন করাই বর্তমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের একমাত্র পথ।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) শনিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশের মানুষ সংগ্রাম করছে। ইতোমধ্যে ১৭ জন মানুষ রাজপথে প্রাণ দিয়েছে। লাখ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, গুম হয়েছে। তারপরও মানুষ থেমে নেই। গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছে, লড়াই করছে।
‘জিয়াউর রহমানকে মনে করে তারেক রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদের আবার উঠে দাঁড়াতে হবে। উঠে আমরা দাঁড়িয়েছি, সেটা সংগঠিত করতে হবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী আজ স্বীকৃত যে ২০১৪ ও ১৮ সালে যে নির্বাচন হয়েছে তাতে এই সরকার জালিয়াতি করেছে। ওইসব নির্বাচনে জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া হয়নি।
‘জালিয়াতি প্রমাণ হয়েছে বলেই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি- এই বাংলাদেশে কোনোদিনই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না যদি আওয়ামী লীগের এই সরকার ক্ষমতায় থাকে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। সেটাই রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের একমাত্র পথ। সেটাই এই জাতিকে রক্ষা করার একমাত্র পথ।’