বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জামায়াত নেতার বাড়ির সিলিংয়ে ককটেল সদৃশ বস্তু, সরাতে গিয়ে বিস্ফোরণ

  • প্রতিনিধি, বগুড়া   
  • ২ জুন, ২০২৩ ১৫:৪৮

সম্প্রতি এই বাড়িটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন বর্তমান মালিক সেলিনা। শুক্রবার সকালে শ্রমিকরা বাড়ির চালের টিন খোলার সময় সিলিংয়ে কয়েকটি বোমা সদৃশ বস্তু দেখতে পান। নাড়াচাড়া করার সময় এক শ্রমিকের হাতের মধ্যে সেগুলোর একটি বিস্ফোরিত হয়।

বগুড়া শহরে সাবেক জামায়াত নেতার বাড়ির সিলিংয়ে পড়ে থাকা ককটেল সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণে এক শ্রমিক আহত হয়েছেন। ঘটনার পরপরই বাড়িটি ঘিরে রাখে পুলিশ। সেখানে পড়ে থাকা আরেকটি বোমা নিষ্ক্রিয় করতে ঢাকা থেকে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল টিম।

শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে শহরের সূত্রাপুর এলাকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

আহত শ্রমিকের নাম আব্দুল বাছেদ। তিনি শাজাহানপুরের আতাইলের বাসিন্দা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। মাঝেমধ্যে নির্মাণ শ্রমিকের কাজও করেন তিনি।

এদিকে বিকেলে ঢাকা থেকে আসা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের একটি দল অবশিষ্ট বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে। এ নিয়ে ওই বাড়িতে মোট দুটি বোমার সন্ধান মিলে। পুলিশ জানায়, ওই দুটি শক্তিশালী হাতবোমা ছিল।

বাড়িটি ওই এলাকার সাবেক জামায়াত নেতা মৃত দুলাল হোসেনের। পরবর্তীতে তার মেয়ে শহরের সেউজগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সেলিনা আক্তার শিউলি মায়ের কাছ থেকে বাড়িটি কিনে নেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর থানার তদন্ত পরিদর্শক আব্দুর রউফ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বাড়ির মালিক দুলাল হোসেন জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করতেন। প্রায় আট বছর আগে তিনি মারা যান। পরে বাড়িটি কিনে মাকে নিয়ে সেখানেই বসবাস করছিলেন সেলিনা আক্তার।

সম্প্রতি এই বাড়িটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন সেলিনা। এ জন্য শুক্রবার সকালে শ্রমিকরা কাজ করছিলেন বাড়িতে। সোয়া নয়টার দিকে বাড়ির চালের টিন খোলার সময় সিলিংয়ে কয়েকটি বোমা সদৃশ বস্তু দেখতে পান বাছেদ। নাড়াচাড়া করার সময় বাছেদের হাতের মধ্যে সেগুলোর একটি বিস্ফোরিত হয়।

পরে স্থানীয়রা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পুলিশ এসে বাড়ির সবাইকে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির বাইরে বের হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বাড়িটি ঘিরে রাখে।

ঘটনার পর বাড়ির মালিক সেলিনা আক্তারকে পাওয়া যায়নি।

জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, ‘বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, ওই দুটি শক্তিশালী হাতবোমা ছিল। বাড়িতে বোমা তৈরির কোনো কিছু পাননি তারা।’

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘দুলাল হোসেন জামায়াত নেতা ছিলেন, এমনটাই জানা গেছে। তবে বিস্তারিত এখনও কিছু জানা যায়নি। আর ওই বাড়িতে বোমা কীভাবে এল সে ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর