নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই গ্রুপের মারামারিতে গুলিবিদ্ধ হোটেল বাবুর্চি বিল্লাল হাওলাদারের (৪০) মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কোমরে গুলিবিদ্ধ হয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিল্লাল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি বৃহস্পতিবার রাত আটটায় মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
নিহত বিল্লাল হাওলাদার বরিশালের মুলাদী থানার হাকিম হাওলাদারের ছেলে। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে তিনি রূপগঞ্জের বরপার আরিয়াব এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
বরপা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ‘প্রিন্স হোটেল’ নামে একটি খাবারের দোকানে বাবুর্চি হিসেবে চাকরি করতেন বিল্লাল। তার দুই ছেলে রয়েছে।
রূপগঞ্জ থানায় মামলা
বিল্লাল গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় বুধবার তার স্ত্রী সাজেদা বেগম বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।মামলায় বলা হয়, মঙ্গলবার বিকেলে বরপা এলাকায় মো. রিফাত নামে এক তরুণের মোটরসাইকেলের সঙ্গে একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কা লাগে৷ পরে রিফাত ওই মাইক্রোবাস চালককে মারধর করেন। তারাব পৌরসভা যুবলীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক বায়েজিদ সাউদ প্রিন্স হোটেলে বসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন।
সেই বৈঠকে রিফাতের পক্ষে অংশ নেন তারাব পৌরসভা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আবু সুফিয়ান ওরফে সোহান। বৈঠকের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে তর্ক হয়।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে মামলায় বলা হয়, তর্কের একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়৷ মারামারিতে তাদের অনুসারীরাও যুক্ত হন। হোটেলটি ভাঙচুর করা হয়। ওই সময় গুলি ছুড়লে সেটি বিল্লাল হোসেনের গায়ে লাগে।
মামলায় আবু সুফিয়ান ওরফে সোহানের গুলি বিল্লালের গায়ে লেগেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, বুধবার গুলিবিদ্ধ বিল্লাল হাওলাদারের স্ত্রী সাজেদা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন৷ এই মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে৷ এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আবু সুফিয়ান ও যুবলীগ নেতা বায়েজিদ সাউদের সঙ্গে কথা বলতে তাদের নম্বরে কল করে বন্ধ পাওয়া যায়।