বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্বাচনী সুবিধা নেয়ার বাজেট: জাপা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১ জুন, ২০২৩ ২১:১৯

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জিএম কাদের বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবসম্মত নয়। বাজেটে পরিচালন ব্যয় বাড়ানোর কারণে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সরকারে জড়িতরা এর অ্যাডভান্টেজ পাবে। এটা অর্থ দিয়ে ইলেকশন পার করার একটা পলিসি হতে পারে।’

জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে নির্বাচনমুখী বাজেট বলে উল্লেখ করেছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় সংসদে বিরোধী দলটি মনে করে, এই বাজেট বাস্তবসম্মত নয়। সরকার-সংশ্লিষ্টরা এই বাজেটকে পুঁজি করে নির্বাচনী সুবিধা নিতে পারে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট উত্থাপনের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গতবারের তুলনায় এক লাখ কোটি টাকা বেশি বাজেট করা হয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি যে নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনমুখী বাজেট করা হয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে মানুষ কষ্টে জীবনযাপন করলেও রাজস্ব আদায়ের বড় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এটাকে আমরা বাস্তবসম্মত বাজেট বলে মনে করছি না। বাজেটে পরিচালন ব্যয় বাড়ানোর কারণে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সরকার এর অ্যাডভান্টেজ (বাড়তি সুবিধা) পাবে।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার খুব অল্পই অর্জিত হয়েছে। তারপরও নতুন বাজেটে চলতি অর্থবছরের চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা মনে করি এটা অর্জিত হবে না।

‘বাকি থাকে অভ্যন্তরীণ ঋণ ও বিদেশি ঋণ। এখন যে পরিস্থিতি ইচ্ছা করলেই যে বিদেশি ঋণ পাবে বা অভ্যন্তরীণ ঋণ নিতে পারবে তা তো নয়। কাজেই আলটিমেটলি বাজেটটা ওয়ার্কঅ্যাবল হবে না, এটা আমাদের ধারণা।’

তিনি বলেন, ‘প্রায় সব কিছুর ওপর পরোক্ষ করা আরোপ করা হয়েছে। যেগুলো অনেক মানুষ, সাধারণ মধ্যবিত্তরা ব্যবহার করে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, এটা আরও বেশি ওপরের দিকে যাবে।

‘মানুষের আয় কমে গেছে, জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। বাজেটে কল্যাণমুখী কিছু দেখছি না। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, গরিব- এ তিন শ্রেণির বেঁচে থাকার জন্য বাজেটে প্রভিশন থাকার দরকার ছিল। কিন্তু তা রাখা হয়নি। এ কারণে এটাকে জনবান্ধব বাজেট বলা যাচ্ছে না।’

এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে পরিচালন ব্যয় অনেক বাড়ানো হয়েছে। অথচ উন্নয়ন ব্যয় অনেক কম। পরিচালন ব্যয় আগে যা ছিল সেটাই অনেক বেশি ছিল। পরিচালন ব্যয় খুব খোলামেলা জিনিস। যেখানে-সেখানে অর্থ ব্যয় করা যায়। হয়তো নির্বাচন সামনে রেখে সরকারে জড়িতরা এটার অ্যাডভান্টেজ নেবেন। এটা অর্থ দিয়ে ইলেকশন পার করার একটা পলিসি হতে পারে।’

এ বিভাগের আরো খবর