চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে জমি দখলে বাধা দেয়ায় এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে হত্যার মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই রায়ে চারজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম বুধবার বিকেলে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন মো. জাবেদ ও হাবিজ আহমদ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মিন্টু মিয়া। বেকসুর খালাস পান নুরুল আলম মেম্বার, হোসনে আরা, তারা বানু এবং পেয়ার আহমদ। তাদের মধ্যে পেয়ার আহমদ কর্ণফুলীর উত্তর চরলক্ষ্যার বাকিরা একই থানার খোয়াজনগর এলাকার বাসিন্দা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৫ নভেম্বর সকালে কর্ণফুলীর খোয়াজনগরে মো. আব্দুস সবুরের দখলীয় জমিতে সিমেন্টের খুঁটি দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে আসামিরা অবৈধভাবে দখল করার চেষ্টা করেন। এসময় মো. আব্দুস সবুর ও তার ভাই আব্দুল করিম তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাবেদ ও হাবিজ আহমদ আব্দুস সবুরকে ছুরিকাঘাত ও আব্দুল করিমকে মারধর করেন। অন্যরা তাদের সহযোগিতা করেন।
পরবর্তীতে আব্দুস সবুরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খুরশীদা বেগম বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে কর্ণফুলী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজহারনামীয় ১০ আসামি হলেন মো. জাবেদ, হাবিজ আহমদ, নুরুল আলম মেম্বার, ছবির আহমদ, ফরিদ আহমদ, মো. আবছার, মিন্টু মিয়া, হোসনে আরা, তারা বানু এবং পেয়ার আহমদ।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি এম. সিরাজুল মোস্তফা মাহমুদ জানান, মামলার পর পুলিশ ২০১১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মো. আবছারকে বাদ দিয়ে বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরমধ্যে ফরিদ আহমদের মৃত্যু হলে তাকে বাদ দিয়ে ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল বাকি ৮ আসামির বিচার শুরু হয়৷ বিচার শুরুর পর ছবির আহমদের মৃত্যু হলে তাকেও মামলার কার্যক্রম থেকে বাদ দেয়া হয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার আদালত রায় ঘোষণা করে।