ইভিএম-এ ভোটগ্রহণে কোনোপ্রকার কারচুপির সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ বিষয়ে কারো কোনো সন্দেহ থাকলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ইভিএমে ভোট গ্রহণের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ইভিএমে কারচুপি করে ফলাফল পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। একজনের ভোট আরেকজন দেয়ারও সুযোগ নেই। কারও কোনো সন্দেহ থাকলে আদালতে যেতে পারেন।’
এ সময় খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সবার সমান সুযোগ থাকবে বলে প্রার্থীদের আশ্বাস দেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে। কোনো পক্ষপাতমূলক নির্বাচন হবে না।’
ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার ব্যাপরে তিনি বলেন, ‘কোনো ভোটারকে বাধা প্রদান করা যাবে না। কোনোভাবে ভোটারদের অধিকার খর্ব করা যাবে না। সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে ভোটকেন্দ্রগুলো মনিটরিং করা হবে।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার জিল্লুর রহমান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) ও নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
সভায় বক্তৃতা করেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঁঞা, খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মো. মইনুল হক, খুলনার পুলিশ সুপার মো. মাহবুব হাসানসহ ১০ জন সহকারি রিটার্নিং অফিসার।
মেয়রপ্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক, জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু, ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী আব্দুল আউয়াল, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির আহম্মেদ ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান বক্তৃতা দেন।
সভায় নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ১৩৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৩৯ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীর বেশিরভাগই উপস্থিত ছিলেন।
১২ জুন খুলনা সিটিতে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার নির্বাচনে পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।