প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যার পর অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে তা পাকাপোক্ত করতে ন্যক্কারজনকভাবে হ্যাঁ-না ভোটের আয়োজন করেছিলেন জেনারেল জিয়া। তার লোক দেখানো সেই হ্যাঁ-না ভোটের আগে কোনো মিটিং-মিছিল পর্যন্ত হয়নি। ছিল না পরিচিতি ও প্রচারের ব্যবস্থা।’
সজীব ওয়াজেদ জয় মঙ্গলবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘রাস্তাঘাটে রিকশা-বাসে এবং মানুষের ব্যক্তিগত যানবাহনে জোর করে সামরিক পোশাক পরিহিত জেনারেল জিয়ার পোস্টার সেঁটে প্রচারণার নামে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছিল।’
বঙ্গবন্ধুর এই দৌহিত্র বলেন, ‘ভোটের দিন ভোটারবিহীন ভোটকেন্দ্রে মানুষ খুঁজে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত অনেক শিশুকেও জোর করে ভোট দিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দিন শেষে ঘোষণা আসে, ৯৯ দশমিক ৪ ভাগ ভোট পেয়ে একচেটিয়াভাবে জয়লাভ করেছেন জেনারেল জিয়া!
‘তার বিপক্ষে কেউ ভোট দেয়নি!! এই হাস্যকর নির্বাচন এবং এর আগে-পরের ঘটনাপ্রবাহ বাঙালির ইতিহাসের অমোচনীয় কলঙ্কময় অধ্যায়।’
জয় বলেন, ‘অতঃপর রাষ্ট্রীয় প্রবিধানকে পাশ কাটিয়ে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে থাকা অবস্থাতেই জিয়া নিয়মবহির্ভূতভাবে গঠন করেন রাজনৈতিক দল- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
‘সেই দলের হয়ে ১৯৭৮ সালের তথাকথিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেন জিয়া এবং নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এই নির্বাচনে জিয়া কোনো কোনো এলাকায় ১২০ ভাগ ভোট পেয়েছেন বলেও বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।’