অনিবন্ধিত দল জামায়াতে ইসলামী যদি কর্মসূচি পালন করতে চায়, তবে অবশ্যই পুলিশের অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ঈদ পূর্ণমিলনী ২০২৩’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা জানান।
মঙ্গলবার ইন্সটিটিউট অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিবি) মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সোমবার বিকেলে জামায়াতে ইসলামীর চার নেতাকে আটকের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশের কাছে তাদের গোপন বৈঠকের তথ্য থাকায় চার নেতাকে আটক করা হয়। তবে এই বিষয়ে পরবর্তীতে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হওয়ায় ছেড়ে দেয় পুলিশ।
জামায়াতের সেই গোপন বৈঠকে নাশকতার কোনো পরিকল্পনা ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, সেব্যাপারে কিছু জানেন না তিনি।
তিনি বলেন, জামায়াতের মতো অনিবন্ধিত দলকে কর্মসূচি পালন করতে হলে অবশ্যই পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
কেরানীগঞ্জে বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে কেনো বাধা দেয়নি পুলিশ। তারপরও তারা সমাবেশে যাবার সময় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে উস্কানিমূলক শ্লোগান দেয়ায় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। ভাঙচুর করা হয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়।
তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশসহ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কোনো বাধা দিচ্ছি না। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদলগুলো উস্কানি দিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে।