আইএমএফ-যুক্তরাষ্ট্রের ‘গণবিরোধী’ শর্ত ও চাপের কাছে সরকার নতি স্বীকার করে বাজেট প্রণয়ন না করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
মঙ্গলবার মৈত্রী মিলনায়তনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে ওই দাবি জানানো হয়।
এ সময় দুর্নীতি-বৈষম্যমুক্ত, গণতান্ত্রিক সমাজ গড়া এবং সুশাসনের লক্ষ্য সামনে রেখে বাজেট প্রণয়ন করাসহ ১৪টি দাবি তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ, সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান, এ এন রাশেদা।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ ডা. ফজলুর রহমান, সদস্য আনোয়ার হোসেন রেজা, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, লুনা নূর।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘সম্প্রতি ভিসা নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে সরকারের ওপর প্রবল চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। পাশাপাশি রয়েছে আইএমএফের ঋণ-শর্তাবলীর চাপ। এ ধরনের চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করতে হলে প্রয়োজন মৌলিক অর্থনৈতিক সংস্কার।’
আরও বলা হয়, ‘সরকারের ধনীক অভিমুখী, শহর অভিমুখী, বিদেশী গোষ্ঠি অভিমুখী প্রবণতাসমূহ না বদলালে সমস্যার আদৌ কোনো সমাধান সম্ভব নয়।’
সিপিবির অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, বৈষম্য হ্রাসে প্রগতিশীল প্রত্যক্ষ করনীতি ও ভ্যাট নীতি চালু, শিক্ষা-স্বাস্থ্য-সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, সুশাসন নিশ্চিত, গরিবদের জন্য রেশন ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু, সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা, বাল্যবিবাহ বন্ধ, স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি, কৃষকের জন্য ন্যায্য মূল্যে উপকরণ প্রদান ও ফসল ক্রয়ের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্র শিল্প ও কর্মসংস্থান খাত তৈরির বিশেষ উদ্যোগ, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করতে বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করা, আমদানী নির্ভরতা কমাতে দেশীয় শিল্পের বিকাশ, পাচারের টাকা, খেলাপী ঋণ উদ্ধারে পদক্ষেপ নেয়া, বৃহৎ প্রকল্প সম্পর্কে মূল্যায়ন করে প্রকল্প গ্রহণ করা এবং সবখানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাজেট জনবান্ধব করতে দাবি আদায়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দেয় দলটির নেতারা।