বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তারেক-জুবাইদার বিরুদ্ধে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৯ মে, ২০২৩ ১৪:৩০

সাক্ষ্য দেয়ার পর আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩০ মে দিন ধার্য করে। এর মাধ্যমে এ মামলায় ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ছয়জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তিন ব্যাংক কর্মকর্তা।

সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্য দেয়া তিনজন হলেন-এস এম মুসা করিম, ওবায়দুর রশীদ ও এমরান আহমেদ। তিনজনই এবি ব্যাংকের কর্মকর্তা।

সাক্ষ্য দেয়ার পর আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩০ মে দিন ধার্য করে। এর মাধ্যমে এ মামলায় ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ছয়জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল একই আদালত তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়। বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয় থেকে গত ৩০ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে গেজেট প্রকাশের আদেশ দেয় এ আদালত।

গত বছরের ১ নভেম্বর তারেক-জুবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। একই আদালত ৫ জানুয়ারি তাদের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেয়।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও তারেকের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে এই মামলা করে দুদক।

এতে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ আনা হয়। মামলায় তারেক রহমানকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় জুবাইদা ও তার মায়ের বিরুদ্ধে।

দুদক এই মামলা করার পর একই বছর তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমান মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আলাদা রিট করেন। এর মধ্যে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এই মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

এরপর আসামিরা মামলা বাতিলের আবেদন করলে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দেয়। দীর্ঘ বিরতির পর রিট মামলাগুলো গত ১৯ এপ্রিল কার্যতালিকায় আসে।

এ মামলার বৈধতা নিয়ে আরেকটি ফৌজদারি আবেদন করেছিলেন জুবাইদা। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তখন এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করে হাইকোর্ট। সেই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ হয়ে যায়।

বিদেশে অর্থপাচার মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছরের সাজা ও ২ কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তির মামলায় তারেক রহমানের দুই বছরের সাজা হয়েছে।

২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেপ্তারের পরের বছর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে গিয়ে আর ফেরেননি বিএনপির এই নেতা। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার রাতে তারেককে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে বিএনপি।

তারেকের মতো জুবাইদাও যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তিনি সরকারি চিকিৎসক ছিলেন। দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কারণে তাকে চাকরি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর