বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অস্ত্র প্রতিযোগিতার অর্থ কেন ক্ষুধার্ত শিশুদের জন্য নয়: প্রধানমন্ত্রী

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৮ মে, ২০২৩ ১৫:০৪

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অস্ত্র প্রতিযোগিতায় যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, সেই অর্থ কেন ব্যয় হয় না ক্ষুধার্ত শিশুদের জন্য, ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য? যেখানে অস্ত্র প্রতিযোগিতার কারণে হাজার হাজার শিশু, নারী মানবেতর জীবনযাপন করছে সারা বিশ্বব্যাপী। আমরা আশ্রয় দিয়েছি রোহিঙ্গাদের। তারাও নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। মনে পড়েছিল একাত্তর সালের কথা। তাই তাদেরকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি।’

বিশ্বব্যাপী অস্ত্র প্রতিযোগিতায় যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, তা কেন ক্ষুধার্ত মানুষের পেছনে খরচ করা যাচ্ছে না, সে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ প্রশ্ন তোলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দেয়া বক্তব্যে সরকারপ্রধান শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার অবদান তুলে ধরেন।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সারাটা জীবন শান্তির সাধনায় নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি সবসময় বলতেন, আমি কোট করছি, ‘আমি চাই শান্তি। শান্তিই আমার কাম্য। ঘন, ঘোর, নিকষ কালো মেঘ দূর করে, দুর্যোগের ঘনঘটার অবসান ঘটিয়ে শান্ত, নীল আকাশের বুকে একঝাঁক শ্বেত কপোত উড়ে বেড়াক। আর সেই সাথে অশান্ত বিশ্বে নেমে আসুক শান্তির মহাময় প্রলেপ।’”

সরকারপ্রধান বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকেই তিনি (বঙ্গবন্ধু) নির্যাতিত মানুষের পাশে ছিলেন। সেই ৪৩ সালের দুর্ভিক্ষে দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের পাশে ছিলেন ছাত্র শেখ মুজিব। ১৯৪৫ সালে দাঙ্গার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে তিনি দাঁড়িয়েছিলেন। সবসময় তিনি শান্তির পথেই ছিলেন এবং শান্তির কথাই তিনি বলে গেছেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি বারবার গ্রেপ্তার হয়েছেন মানুষের কথা বলতে যেয়ে। আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার যখন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করা হলো, তার প্রতিবাদ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের অধিকার আদায়ের কথা বলতে গেছেন, গ্রেপ্তার হয়েছেন। শোষণ, বঞ্চনা থেকে মানুষকে মুক্তির কথা বলতে গেছেন, গ্রেপ্তার হয়েছেন।’

জাতির পিতার প্রসঙ্গে তার কন্যা আরও বলেন, “বারবার তিনি বন্দি হয়েছেন। তারই নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। স্বাধীনতা অর্জনের পর ৮ জানুয়ারি, ১৯৭২ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বন্দিখানা থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি যখন লন্ডনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন, তখন তিনি ঘোষণা করেছিলেন একই কথা, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়।’ সেই নীতিতেই আমি বিশ্বাস করি।”

বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে সারা বিশ্বব্যাপী যে অবস্থা আমরা দেখছি, সেখানে আমরা চাই শান্তির মাধ্যমে, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হোক। আমরা তো করেছি। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি আমরা করেছি আলোচনার মাধ্যমে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে ছিটমহল বিনিময় করেছি আমরা আলোচনার মাধ্যমে। তাহলে কেন আজকে এই অস্ত্র প্রতিযোগিতা?

‘অস্ত্র প্রতিযোগিতায় যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, সেই অর্থ কেন ব্যয় হয় না ক্ষুধার্ত শিশুদের জন্য, ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য? যেখানে অস্ত্র প্রতিযোগিতার কারণে হাজার হাজার শিশু, নারী মানবেতর জীবনযাপন করছে সারা বিশ্বব্যাপী। আমরা আশ্রয় দিয়েছি রোহিঙ্গাদের। তারাও নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। মনে পড়েছিল একাত্তর সালের কথা। তাই তাদেরকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর