বাংলা গানে ৫৭ সেকেন্ডে সবচেয়ে বেশিবার হুইসেল বাজিয়ে ইন্টারন্যাশনাল বুকস অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তুললেন ঝালকাঠির ছেলে কুমার কাকন উজ্জ্বল।
হুইসেল ক্যাটাগরিতে পুরো বিশ্বে তিনিই প্রথম ‘লংগেস্ট টাইম টু হুইসেল’ টাইটেলে রেকর্ডটি গড়েছেন।
২৪ বছর বয়সী কাকনের জন্মস্থান ঝালকাঠি পৌর এলাকার সিটিপার্ক সড়কে। তার বাবা উত্তম কুমার রায় ঝালকাঠি পৌরসভায় চাকরি করেন এবং মা শিউলি রানী রায় পেশায় একজন আইনজীবী। এক ভাই এক বোনের মধ্যে কাকনই বড়।
কাকন ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সনে এসএসসি পাশ করে ভর্তি হন বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজে। সেখান থেকে ২০১৮ সনে এইচএসসি পাশ করে ২০২২ সনে ভারত সরকারের অধীনে ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ নিয়ে ব্যাঙ্গালোরের জেইন ইউনিভার্সিটি থেকে বায়োকেমিস্ট্রি জেনেটিক্স অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।
পড়াশুনার জন্য ভারতে অবস্থান করায় ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য ২০২২ সনের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের ব্যাঙ্গালোর থেকে আবেদন করেন কাকন। পরবর্তী সময়ে ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর ভিডিও পাঠানোর পরে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি তা গৃহীত হয়। পরবর্তীতে গত মার্চ মাসে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বরেকর্ড গড়ার স্বীকৃতি পান বাংলাদেশি এই তরুণ।
মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে কাকন বলেন, ‘হুইসেল নিয়ে আমার পথচলা শুরু হয় ২০১৮ সালে। তখন দেখেছি মানুষ এটাকে খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে এবং পছন্দ করেছে। আর তখনই এটা নিয়ে আমার স্বপ্নটা আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। সেই থেকেই ইচ্ছে ছিল হুইসেলের মাধ্যমে বাংলা গানকে পুরো বিশ্বের কাছে কিভাবে তুলে ধরা যায়।
‘যেহেতু ছোটবেলা থেকেই আমি মিউজিকের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম তাই হুইসেল আমার আয়ত্ত করতে খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি। আমি গর্বিত যে, বাংলা ভাষার গানকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে পেরেছি এবং সেই বাংলা গানে হুইসেল বাজিয়ে এটির বিশ্বরেকর্ড করতে পেরেছি।’
কাকনের বাবা উত্তম কুমার রায় বলেন, ‘আমার ছেলে পড়ালেখার পাশাপাশি হুইসেল বাজিয়ে গান তুলে বিশ্বরেকর্ড গড়ায় আমি গর্বিত। আমরা পরিবারের সবাই এবং স্বজনরা খুশি ও আনন্দিত।’
বর্তমানে ভারতের ব্যাঙ্গালোরে অবস্থান করছেন কাকন। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক সংগঠনের সাথেও যুক্ত রয়েছেন।