বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বহিষ্কারের খড়্‌গ মাথায় নিয়ে নির্বাচনে বিএনপির ১৬ প্রার্থী

দলীয় হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোট করতে নাছোড়বান্দা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা।

চলমান সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী অংশ নেবে না বলে আনু্ষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইচ্ছা থাকলেও দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে দাঁড়ানো একাধিক নেতা-নেত্রী।

তুমুল জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি আমার প্রাণের সংগঠন। যে সংগঠনকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছি, সেই সংগঠনের ক্ষতি হোক আমি এটা চাই না। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।’

বরিশালেও দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে বিএনপির পাঁচজন মেয়র প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।

কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয় না। তবে সিটি নির্বাচনের শুরু থেকেই নেতা-কর্মীদের নির্বাচনে কোনোভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার কথা বলছে বিএনপি। এমনকি নির্বাচনে অংশ নিলে দল থেকে আজীবন বহিষ্কারেরও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

সেসব হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই বরিশাল সিটিতে সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিতে নাছোড়বান্দা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা। সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন দলটির ১৬ নেতা-নেত্রী। তাদের মধ্যে ৭ জন বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। অপর ৯ জন ওয়ার্ড বিএনপির পদধারীসহ সাবেক নেতা।

এদের মধ্যে মেয়র পদে বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা আহসান হাবীব কামালের ছেলে কামরুল আহসান রুপনও রয়েছেন। তিনি নিজেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সদস্য হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। নির্বাচনী লিফলেটেও তিনি নিজেকে জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তবে বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবিরের দাবি, রুপন বিএনপির কেউ নন।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন, ‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত কেউ অমান্য করবে না। এ সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে পালন করা হবে। গাজীপুরে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, এখানেও সেই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে সবার জন্য একই ব্যবস্থা- আজীবন বহিষ্কার।’

বিসিসি নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপি নেতারা হলেন- নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান টিপু, ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হারুন অর রশিদ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ মো. আমিনুল ইসলাম, মহানগর কমিটির সদস্য ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিম হাওলাদার, সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জাহানারা বেগম, ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সেলিনা বেগম ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে রাশিদা পারভীন।

এছাড়াও রয়েছেন- নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ওয়ার্ড শাখার সদস্য সচিব জিয়াউল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম এবং ছাত্রদলের সাবেক জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জোবায়ের আব্দুল্লাহ সাদি।

পদ না থাকলেও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও ওই ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ফারুক, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ইউনুস, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ফরিদউদ্দিন হাওলাদার, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে হুমায়ন কবির ও সংরক্ষিত ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মহিলা দল নেত্রী মজিদা বোরহান।

এ বিভাগের আরো খবর