গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে কেন উদ্বিগ্ন হতে হবে, সে প্রশ্ন তুলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শনিবার দুপুরে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যকে সহায়তা করতে’ সম্প্রতি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে এ ভিসা নীতি ঘোষণা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের কার্যালয় প্রকাশিত বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যকে সহায়তা করতে আমি ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের অধীনে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি।
‘এই নীতির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে। এর মধ্যে বর্তমান ও প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকারপন্থি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত।’
যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ব্লিঙ্কেন।
ওই ভিসা নীতির কারণে কারা ঝুঁকিতে আছে, সে বিষয়ে আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, ‘শুধু সরকারি কর্মচারী কিছু আর কিছু বড় ব্যবসায়ী আর কিছু রাজনীতিবিদ কিংবা সিভিল সোসাইটির লিডার, যাদের বিদেশে ছেলে-মেয়ে পড়ে, বাড়িঘর করেছেন, দেশের টাকা পাচার করেছেন, পাচার কমবে হয়তো ইনশাল্লাহ আশা করতেছি এর কারণে। কারণ উনারা বিদেশে নিয়ে এগুলো স্থাপনা তৈরি করে। সুতরাং এটা নিয়ে অত ওরিড (উদ্বিগ্ন) কেন? নাথিং টু…ভিসা দেয়া না দেয়া এটা আমেরিকান সরকারের, তার দায়িত্ব; আমার দায়িত্ব না।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এই যদি আইনের কারণে জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ হয়, দ্যাট উড বি আ ব্লেসিং (এটা হবে আশীর্বাদ)। দ্যাট উড বি আ ব্লেসিং। সুতরাং জ্বালাও-পোড়াও কারা করে, আপনি জানেন। যারা করেন, তাদের সতর্ক হওয়া দরকার। তাদের লিডারশিপদের (নেতৃত্ব) সতর্ক হওয়া দরকার।’