গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ‘জিনের বাদশা’ চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানা সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন গোবিন্দগঞ্জের মথুরাপুর গ্রামের ৩২ বছর বয়সী মোর্শেদুল ইসলাম ও মালাধার কালিপাড়া গ্রামের ৫০ বছর বয়সী জাহিদুল ইসলাম।
যেভাবে করতেন প্রতারণা
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান জানান, প্রতারক চক্রটি নিজেদের ‘আল্লাহর অলী’ ও ‘দরবেশ’ পরিচয় দিয়ে বগুড়া জেলার শাহজাহানপুর উপজেলার আবদুল আলিমের মোবাইল ফোন নম্বরে কল করে।
সালাম দিয়ে আলিমকে জানানো হয়, তার ভাগ্যে বহু ধন-রত্ন দেখা গেছে, সে বড়ই ভাগ্যবান।
আলিমের ‘সাত রাজার ধন’ আল্লাহর নির্দেশে ৭০০ জিন পাহাড়া দিচ্ছে।
প্রতারকারা আলিমকে আরও জানায়, এই ধন-সম্পদ পেতে হলে তাকে আল্লাহর ওয়াস্তে মসজিদে কোরআন, জায়নামাজ, টুপি দান করতে হবে।
এভাবে প্রতারকরা নিয়মিত বেশ কয়েকদিন গভীর রাতে মোবাইলে কথা বলতে থাকে এবং তাকে মূল্যবান ধন-সম্পদ পাওয়ার লোভ দেখাতে থাকে।
এক পর্যায়ে আলিম বিকাশের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা পাঠান।
পরে আরও বিভিন্ন ধরণের লোভ দেখিয়ে একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল ও চুড়ি, একটি করে হার, টিকলি ও আংটিসহ অনুমানিক দুই লাখ টাকার স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়।
পরে আলিম প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
গ্রেপ্তার দুজনের কাছ থেকে স্বর্ণের চুড়ি, কানের দুল, ইমিটেশনের হার, রুপার নুপুর, আট হাজার টাকাসহ ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গাইবান্ধা জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার উদয় কুমার সাহা, গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইজার উদ্দিন, ওসি (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম, এসআই সুজন কবির, এসআই রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।