নির্বাচনে জিতে মেয়র হলে ভোটারদের সম্মান ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)।
শুক্রবার সকালে বরিশাল সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
ওই সময় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পান মেয়র পদপ্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ। তা ছাড়া জাতীয় পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন (তাপস) লাঙ্গল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম হাতপাখা ও জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু গোলাপ ফুল প্রতীক পেয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে কামরুল আহসান রূপন টেবিল ঘড়ি, মো. আলী হোসেন হাওলাদার হরিণ ও মো. আসাদুজ্জামান হাতি প্রতীক পেয়েছেন।
নৌকা প্রতীক পেয়ে নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ।
ওই সময় তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত হতে পারলে সাধারণ ভোটারদের সম্মান ফিরিয়ে দেয়া হবে। সিটি করপোরেশন হবে সবার জন্য উন্মুক্ত।’
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অন্য মেয়র প্রার্থীরা।
লাঙ্গলের ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, ‘ইভিএমে ভোট নিয়ে অনেক ঝামেলা দেখা যাচ্ছে। সে কারণে ব্যালটে ভোটগ্রহণ চাচ্ছি আমরা। তা ছাড়া সুষ্ঠ নির্বাচন করতে হলে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা অতি জরুরি।
‘কেননা সরকার দলের সমর্থকরা প্রতি রাতেই মহড়া দিচ্ছে, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার মিলছে না।’
নির্বাচিত হলে ক্যাডারমুক্ত বরিশাল গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘কোনো সন্ত্রাসী এই বরিশাল শহরে ঠাঁই পাবে না, তবে নির্বাচন নিয়ে আমরা শঙ্কিত।
‘তা ছাড়া ইভিএমে ভোটগ্রহণ চাচ্ছি না। কারণ গাজীপুরে ইভিএমে ভোটগ্রহণ দেখেছি। গভীর রাত করে যদি ফলাফল ঘোষণা করতে হয়, তাহলে ইভিএমের সুফলটা কী?’
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের প্রতীকেই আস্থা রেখেছেন বরিশাল সিটি নির্বাচনের (বিসিসি) স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপন। নিজের প্রতীক হিসেবে টেবিল ঘড়ি চাইলে তাকে ওই প্রতীকই বরাদ্দ দেয়া হয়।
প্রতীক পেয়ে রূপন বলেন, ‘আমার বাবা প্রয়াত আহসান হাবিব কামাল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন। তার সঙ্গে মিলিয়ে আমি প্রতীক হিসেবে টেবিল ঘড়ি চেয়েছিলাম। আমি বিজয়ের প্রত্যাশা করছি।’
মেয়র প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রতীক পাওয়ার পর মেয়র প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন।
১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার মেয়র পদে ৭, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৬ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।