নরসিংদীতে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অপর পক্ষের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে নরসিংদী জেলা বিএনপির কার্যালয় সংলগ্ন শহরতলীর চিনিশপুরে ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হন ছাত্রদল নেতা ৩২ বছর বয়সী সাদেকুর রহমান ও ২০ বছরের আশরাফুল ইসলাম।
গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাদেকুর রহমানের মৃত্যু হয়। আর শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় আশরাফুলের।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘নরসিংদী থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা গুলিবিদ্ধ দুজনের মধ্যে গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটের দিকে প্রথমে ছাদেকুর রহমান মারা যান। অপরজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে মারা যান।’
২০ বছর বয়সী আশরাফুল নরসিংদী পৌর এলাকার সাটিরপাড়ার নাজমুল হকের ছেলে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরতলীর চিনিশপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের পাশে সংঘর্ষের পর তাৎক্ষণিক ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ সময় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের বাসভবন ও বিএনপির কার্যালয়ে অভিযানে আটটি রাম দা ও পাঁচটি ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে এ হত্যার খবরে নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও হাজীপুর ইউনিয়ন শাখার আহ্বায়ক জাহিদুল কবির ভূঁইয়া জাহিদের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে।
হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগের বিষয়ে নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পায়নি পুলিশ।’
লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।