বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘুষ নিতে আউটসোর্সিংয়ে কর্মচারী নিয়োগ

  • প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ (গজারিয়া)   
  • ২৫ মে, ২০২৩ ২১:৩৮

ভূমি অফিস পরিদর্শনে এসে ৯৮ টাকার জায়গায় ৫০০ টাকা আদায়ের বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলেন গজারিয়ার ইউএনও। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

ঘুষ নেয়ার জন্য আউটসোর্সিংয়ের (চুক্তিভিত্তিক) মাধ্যমে কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার এক ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এমনকি ঘুষ আদায়কালে তাকে হাতেনাতে ধরেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

বুধবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের ভূমি অফিসে এ ঘটনা ঘটে।

ভূমি অফিস পরিদর্শনে এসে ৯৮ টাকার জায়গায় ৫০০ টাকা আদায়ের বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলেন গজারিয়ার ইউএনও। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘুষ ছাড়া কোন কাজ করা যায় না ভবেরচর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। প্রত্যেকটি কাজে সরকারি খরচের বাইরে অন্তত তিন থেকে চার গুণ বেশি টাকা গুনতে হয়। এমনকি শুধুমাত্র ঘুষ নেয়ার জন্য ইউএনও ও উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অগোচরে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কয়েকজন কর্মচারীও নিয়োগ দিয়েছেন ভবেরচর ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম।

স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিম বলেন, ‘ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে ৪টি খসড়া পর্চা নিতে আমার ৮০০ টাকা খরচ হয়েছে। কিছু কর্মচারীর মাধ্যমে এই টাকা আদায় করেন ভূমি কর্মকর্তা।’

আরেক সেবা প্রত্যাশী শাহিনা বেগম বলেন, ‘জমির নামজারি বাবদ আমার কাছে ৭ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে যা সরকার নির্ধারিত খরচের চেয়ে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় গুণ বেশি।

বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘এক ব্যক্তির জমির খাজনা বাবদ ৯০টাকা নেয়ার কথা ছিল, ভ্যাট সহকারে যা ৯৮ টাকার মতো আসে। তবে আমাদের অফিসের আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত শাহীন নামের এক স্টাফ এক ব্যক্তির কাছ থেকে অনলাইনে নামজারির আবেদন ও খাজনার সরকারি ফি বাবদ ৫০০টাকা আদায় করেন। যদিও তার ২০০ টাকা ফেরত দিয়ে ৩০০ টাকা রাখার কথা ছিল। কিন্তু সে ভুলবশত ৫০০ টাকার নোটটি আমার ড্রয়ারে রেখে দেয়।

‘বিষয়টি হয়ত কেউ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়ে দিয়েছে। তিনি আমার দপ্তর পরিদর্শনে এসে এ বিষয়ে নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।’

তবে শাহীন কিভাবে এই অফিসে কাজ করছে? কে তাকে নিয়োগ দিলো?- এ প্রশ্নগুলোর উত্তরে তিনি কোনো জবাব দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ‘নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে আকস্মিকভাবে আমি বুধবার বিকেলে ভবেরচর ইউনিয়নের ভূমি অফিসে যাই। সে সময় অফিসের কর্মপরিবেশ ও সেবা প্রত্যাশীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ বেশকিছু বিষয় তখন আমার নজরে পড়ে।’

বিষয়টি তিনি লিখিত আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানান।

মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) স্নেহাশীষ দাশ বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমরা এখনও অবগত নই। যদি এই ধরনের কর্মকাণ্ড কেউ ঘটিয়ে থাকে, তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর