গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে অত্যন্ত সন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলন, ‘সব প্রার্থী সুন্তুষ্ট, ভোটাররা সন্তুষ্ট, গণমাধ্যমও সন্তুষ্ট। তাই আমরাও অত্যন্ত সন্তুষ্ট।’
বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ শেষে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা জানানো হয়।
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে ইসি মো. আলমগীর বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আমাদের পর্যবেক্ষকরা যে তথ্য পাঠিয়েছেন তাতে নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী ভোটের সময় শেষ হলেও কেন্দ্রের চৌহদ্দির মধ্যে যারা উপস্থিত থাকেন, তাদের ভোট গ্রহণ করতে হয়। তাই সময় শেষেও ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। আমাদের কাছে যে তথ্য এসেছে তাতে ভোট পড়ার হার ৫০ শতাংশের কম হবে না।’
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশএন (ইভিএম) ভোটগ্রহণে ধীরগতির ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘ইভিএম বুঝতে অনেকের একটু দেরি হয়, সে কারণেও গতি কিছুটা ধীর হতে পারে। তবে এটিই একমাত্র কারণ নয়।’
দু'টি কেন্দ্রে এজেন্টরা ভোটারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘তাদের আটক করা হয়েছে।
‘আমাদের নজরে অন্যান্য কেন্দ্রে অনিয়মের তথ্য আসেনি। যেটা নজরে এসেছে সেখানে ব্যবস্থা নিয়েছি। চার হাজারের বেশি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। একবারে সব দেখা সম্ভব না। তবে সিসি ক্যামেরার জন্য অনেকেই অনিয়ম করতে ভয় পেয়েছে। এটাই আমাদের সফলতা।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা থাকবে কি-না তা এখন বলতে পারবো না। যখন তফসিল ঘোষণা হবে তখন সিদ্ধান্ত হবে।’
অনেক কেন্দ্রে মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের এজেন্ট ছিল না। বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘এরকম কোনো নজির আমরা পাইনি।’