নেত্রকোনা সরকারি কলেজটিকে নিজ নামে নামকরণের দাবি করেছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ দাবি করেন।
বুধবার নির্মলেন্দু গুণ তার ফেসবুক আইডিতে দেয়া স্ট্যাটাসে লিখেন ‘নেত্রকোনা সরকারী কলেজটা আমার নামে হইলে কেমন হয়? আমি তো ঐ কলেজের ভালো ছাত্র ছিলাম।’
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনিকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও লিখেন, ‘আপনি এই মর্মে সাহস করে একটা প্রস্তাব উত্থাপন করুন, আশা করি মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী মেনে নিবেন। আপনারা দুজনই তো জনসমাবেশে আমার কবিতা পড়েন। তাই না? সমস্যা কী?’
২০১৬ সালের স্বাধীনতা পদকের জন্য সরকার ঘোষিত তালিকায় নির্মলেন্দু গুণের নাম ছিল না। ৭ মার্চ তালিকাটি প্রকাশের পর ১২ মার্চ তিনি তার ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এরপর সরকার তালিকাটি সংশোধন করে তার নাম যুক্ত করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেন, ‘আমি ১৯৬৪ সালে নেত্রকোনা সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান শাখায় প্রথম বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করি। সে বছর ওই কলেজ থেকে আমি ছাড়া আর কেউ প্রথম বিভাগ পায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রাবস্থায় ওই কলেজের ম্যাগাজিনে আমি লেখালেখিও করেছি। কলেজ থেকে প্রকাশিত ‘ময়ুখ’ নামের একটি ম্যাগাজিনে ‘নজরুল স্মরণে’ শিরোনামের আমার একটি কবিতা ছাপা হয়েছিল। আমার তখনকার বয়সের একটি ছবিও ছাপা হয়েছিল কবিতাটির সঙ্গে।’
নেত্রকোনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নূরুল বাসেত বলেন, ‘আমি কবির স্ট্যাটাসটি এখনও দেখিনি। আর কলেজের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিতে হলে তা সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কবি আমাদের কলেজের ছাত্র ছিলেন। এটি আমাদের গর্বের বিষয়।’
১৯৪৫ সালে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার কাশবন (কাশতলা) গ্রামে জন্ম নেন নির্মলেন্দু গুণ।
তিনি তার গ্রামে কাশবন বিদ্যানিকেতন, রামসুন্দর পাঠাগার, শৈলজা সঙ্গীত ভূবন, বিভিন্ন ব্যক্তির ভাস্কর্য এবং সরোবর নির্মাণ করেন।
এদিকে নেত্রকোনা শহরের মালনী এলাকায় মগড়া নদীর পাড়ে তার নির্মাণ করা ‘কবিতাকুঞ্জ’ নামের একটি ব্যাতিক্রমী সংগ্রহশালাকে নেত্রকোনার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত করতে সিন্ডিকেটের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।