বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারে সমর্থন দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা বাংলাদেশের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৫ মে, ২০২৩ ১৩:২২

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের অঙ্গীকারে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর টেকসই অঙ্গীকারের পাশে দাঁড়ানোয় যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রশংসা করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের অঙ্গীকারে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখতে সব পর্যায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের দ্ব্যর্থহীন অঙ্গীকারের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণাকে বিবেচনায় নিতে চায় বাংলাদেশ।

সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পদক্ষেপের প্রশংসা করে বিবৃতিতে বলা হয়, কঠোর পরিশ্রমে অর্জিত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দেশে উন্নয়নের অর্জনকে টিকিয়ে রাখা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের জনগণের ওপর নির্ভর করে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর টেকসই অঙ্গীকারের পাশে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে বলে সরকার তাদের প্রশংসা করে।

বিবৃতিতে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে।

এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল দেশ এবং জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে ধারাবাহিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে এটা স্পষ্ট যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অব্যাহত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে দেশের জনগণ অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের একটি আন্তর্জাতিক রোল মডেল। ২০২৬ সালের মধ্যে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে স্নাতক হওয়ার যোগ্য হয়ে উঠেছে দেশটি। গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার টানা তিন মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার কারণে এটি অর্জন হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকারের বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন। ভোট কারচুপির মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট কেড়ে নিয়ে কোনো সরকারের ক্ষমতায় থাকার নজির নেই। জনগণের ভোটের অধিকারকে আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় পবিত্রতা বলে মনে করে। আর এই অধিকারের জন্য নিরলস সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের রাজনৈতিক ইতিহাস তার রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার সব শান্তিপূর্ণ ও বৈধ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য সভা-সমাবেশের স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশে নির্বাচনী সংস্কার প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে জড়িত পরামর্শমূলক পদ্ধতিতে চলে থাকে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বাধীন সরকার কর্তৃক তালিকাভুক্ত ১০ দশমিক ২৩ মিলিয়ন ভোটার তালিকা জালিয়াতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে ফটোভিত্তিক ভোটার আইডি কার্ড ইস্যু করা হয়েছিল।

এতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের মাধ্যমে নির্বাচনি প্রক্রিয়া কঠোর নজরদারির মধ্যে থাকবে। সরকার আশা করে যে, যারা স্থানীয় অগণতান্ত্রিক শক্তি, যারা সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়, তারা সতর্ক থাকবে এবং সংবিধানের নির্দেশিত নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করার তাদের বিভ্রান্তিকর প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকবে।

বুধবার বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ভিসা নীতির আওতায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িতদের ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করবে দেশটি।

এ বিভাগের আরো খবর