গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট শুরুর ১৫ মিনিট আগেও একটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় টেকনিশিয়ানদের।
কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল পৌনে আটটায় এমন ঘটনা দেখা যায়।
এ কেন্দ্রের ৭টি বুথে ভোট দেবেন ২ হাজার ৩৫৬ জন ভোটার। অন্যদিকে গাজীপুর ভোট সুষ্ঠু করতে এ সিটির ৪৮০ ভোটকেন্দ্রে ৪ হাজার ৪৩৫ সিসি ক্যামেরা বসানো হয়।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয় নিশ্চিত করা হয়, তবে কেন্দ্রে গিয়ে দেখা মেলে ভিন্ন পরিস্থিতি।
কানাইয়া স্কুলে নিজের ভোট দেবেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ও গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শামসুজ্জামান বলেন, ‘একটা বুথ নেব কি নেব না ওটা নিয়ে ঝামেলা। লাস্টে ম্যাজিস্ট্রেট স্যার ফাইনালি বলছে ভোট নেয়া যাবে। তাই বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।’
দুই দিন আগেই লাগানোর কথা ছিল জানিয়ে এই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বলেন, ‘অস্থায়ী বুথ নেয়ার কথা ছিল। বৃষ্টি আসলে ঝামেলা হতে পারে। তাই স্থায়ী বুথ নিয়েছি।’
নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৮ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র পদের প্রার্থীরা হলেন মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম, নৌকা প্রতীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ।
স্বতন্ত্র থেকে মেয়র পদে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা), ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন ভোটার তাদের ভোটধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
এদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ ও পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং ১৮ জন ট্রান্সজেন্ডার ভোটার।