আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির মেয়র পদপ্রার্থী ও দলটির মহানগর শাখার আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বাবুল। সে সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ‘পক্ষপাতমূলক’ আচরণের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাবুল বলেন, ‘২৩ মে সিলেটে সরকারদলীয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ কয়েক শ’ নেতাকর্মী শো-ডাউন করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন।’
নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের মধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘনের এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বাবুল বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সে দৃশ্যের চিত্র জাতীয়, স্থানীয় পত্র-পত্রিকা ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। এতে প্রমাণিত হচ্ছে যে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয় নিরপেক্ষ নয়।’
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকার প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘনে নিজের শঙ্কার কথা জানিয়ে বিবৃতিতে নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে আমার মনে হচ্ছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে পক্ষপাতদুষ্ট বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এ অবস্থায় আমার ধারণা, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচনের দিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন সরকারদলীয় প্রার্থীর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
‘এরূপ চলতে থাকলে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে আমি কোনো কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য হলে শুধু সিলেট নয়, জাতীয়ভাবে এর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।’
এর আগে ২০ মে নির্বাচন সুষ্টু হবে না দাবি করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বর্তমান মেয়র ও বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী। তিনিও নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের দাবি তোলেন।
এ অভিযোগ প্রসঙ্গে সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদির বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে আমরা শুরু থেকেই শক্ত অবস্থানে রয়েছি। জাতীয় পার্টির প্রার্থী যদি লিখিতভাবে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেন, তবে আমরা তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।’
নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখার জন্য সিলেট নির্বাচন কমিশনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন নজরুল ইসলাম বাবুল।