চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেডে আকমল আলী সড়ক এলাকার একাংশে চারদিন ধরে বিদ্যুৎহীন রয়েছে দুই সহস্রাধিক বাসিন্দা। বিদ্যুত না থাকায় পাওয়া যাচ্ছে না পানিও। সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।
ভোক্তভোগীদের অভিযোগ, চারদিন আগে ওই এলাকার বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়। একদিন পর পাশের আরেকটি ট্রান্সফর্মারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার চেষ্টা করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের চাপ কমাতে পুরনো ট্রান্সফরমারটিও সংস্কারের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেলিম রেজা নামে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে বাধা দেন। সেলিম রেজাকে এই কাজে সহযোগিতা করেন তার তিন ভাই আকতার, বেলাল ও রফিক।
মঙ্গলবার পিডিবির লোকজনকে নিয়ে ট্রান্সফরমারে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে যান স্থানীয় বাসিন্দা মো. জসীম। এ সময় জসিমকে মারধর ও পিডিবির লোকজনকে গালাগাল করেন সেলিম রেজার ছোটো তিন ভাই। এছাড়াও ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তির কথা প্রকাশ্যে বলায় তাকে মারধর করেন সেলিম রেজা।
মারধরের শিকার জসিম জানান, ট্রান্সফরমার বসানো হয়েছে সড়কের পাশে। ইপিজেডের কাছে হওয়ায় এখানে অন্তত আড়াই হাজার পরিবার বাস করে। তবে সড়কের জমির মালিকানা সেলিম রেজার পরিবারের।
সড়ক ব্যবহার এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগের জন্য ২০১০ সালে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে সেলিম রেজার বাবার সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়। কিন্তু তারা এখন চুক্তিটি মানতে চান না। এখন বিদ্যুৎ সংযোগেও বাধা দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ, হালিশহর) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এটা মূলত স্থানীয় দুই পক্ষের বিরোধ। সেখানে আগে দুটি ট্রান্সফরমার বসানো ছিল। একটাতে সংযোগ ছিল। অন্যটাতে তাদের বিরোধের কারণে সংযোগ দেয়া যায়নি।
‘যেটাতে সংযোগ ছিল সেটা কয়েকদিন আগে বিকল হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন চাপ কমাতে স্থানীয়রা দুটা ট্রান্সফরমারেই সংযোগ দেয়ার অনুরোধ করেন। সে অনুযায়ী আমরা সংযোগ দিতে গেলে একটা পক্ষ বাধা দেয়। এমনকি বিকল ট্রান্সফরমার সংস্কার করতেও বাধা দেয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা স্থানীয় থানাকে বিষয়টি অবহিত করেছি।’
অভিযোগের বিষয়ে সেলিম রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যার জায়গা তার কাছে এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। আমি বাধা দেইনি। আমি কিছু জানি না।’