সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবদুল হানিফ কুটু।
আর তার স্ত্রী নাজনীন আক্তার কণা সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন।
মঙ্গলবার তারা দুজন সিসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল দাকিরের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
আবদুল হানিফ কুটু মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।আবদুল হানিফ কুটু ১৯৮৬-৮৭ সালে ছাত্রলীগের মনোনয়নে সিলেটের এমসি ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন।
১৯৯১-৯২ সালে একই ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে সিলেট সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি হন তিনি।সিলেট জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি এবং জেলা যুবলীগের সদস্য হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। পরে রাজনীতিতে কোনঠাসা হয়ে পড়েন তিনি।কুটুর স্ত্রী নাজনীন আকতার কনা যুব মহিলা লীগের জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি।
প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে কুটু বলেন, ‘প্রবাসী একজনকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয়ায় দলের অনেকেই ক্ষুব্ধ। তাদের কেউ কেউ আমাকে প্রার্থী হওয়ার অনুরোধ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচিত হলে নগরবাসীর সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নেব। আমি নগরীর বাসিন্দা, তাই কী কী সমস্যা রয়েছে, তা ভালো করেই জানি।’
কাউন্সিলর প্রার্থী নাজনিন আক্তার কনা বলেন, ‘আমি কাউন্সিলর থাকাকালে এলাকার উন্নয়ন ও শান্তি-সম্প্রীতি বজায়ে সচেষ্ট ছিলাম। তাই এবারও আমাকে এলাকাবাসী মূল্যায়ন করবেন বলে আশাবাদী।’
সিলেটে মনোনয়নপত্র জমা দানের শেষ তারিখ ছিল মঙ্গলবার।
এখানে মেয়র পদে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত ১৪টি কাউন্সিলর পদে ৮৯ জন ও ৪২টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৮৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৫ মে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১ জুন। ২১ জুন ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে।