রাজধানীর ধানমন্ডিতে মঙ্গলবার বিএনপির পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর হামলা ও সংঘর্ষ এবং নাশকতার অভিযোগ করে আলাদা দুটি মামলা করেছে পুলিশ।
পুলিশ বাদী হয়ে দুই মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করেছে।
বুধবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া।
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার বিএনপির পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি পুলিশের ওপর হামলা ও আরেকটি নাশকতার। দুই মামলায় বিএনপির ৫২ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত হিসেবে আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।’
ওসি বলেন, ‘দুই মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৭ জনকে। পুলিশের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারদের তিন দিনের রিমান্ডে আজ বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য মামলায় পরবর্তী সময়ে রিমান্ড চাওয়া হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার রমনা জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘বিএনপির একটি পূর্ব নির্ধারিত পদযাত্রা ছিল। বাংলাদেশ মেডিক্যাল থেকে শুরু হয়ে পদযাত্রাটি আসার কথা ছিল সিটি কলেজ পর্যন্ত। খুব শান্তিপূর্ণভাবে তারা পদযাত্রা শুরু করেছিল। প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার লোক অংশ নিয়েছিলেন। সামনের সারিতে যে সকল নেতা-কর্মীরা ছিলেন তারা খুব ভালো আচরণ করেছেন। এ পর্যন্ত (সায়েন্স ল্যাব) এসে তাদের যা করার কথা ছিল, তাই করেছেন। সব সিনিয়র লিডাররা চলে গেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পদযাত্রা শেষের সারি থেকে কিছু ছেলে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তারা ইট-পাটকেল মারে। ব্যানারের লাঠি দিয়ে পুলিশকে লাঠিপেটা করে। পুলিশও পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করে। এর মধ্যেই তারা বিআরটিসির একটি বাসে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেও পুরোপুরি জ্বালিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়।
‘পরে বাসের গ্লাস ভেঙেছে। এই সংঘর্ষে আমাদের ১২/১৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি তারা না করলেও পারত। এখন আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
নিউ মার্কেট থানার মামলায় আসামি ৪৬
এদিকে রাজধানীর নিউ মার্কেট থানার সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিএনপির পদযাত্রা থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ বিএনপির ৪৬ নেতা-কর্মীরা নামে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে আরো ৫০০ জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিউ মার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল গনি সাবু। মামলার বাদী নিউ মার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সবুজ মিয়া।