একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম- উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের দেয়া বক্তব্য আপিল বিভাগের নজরে এনেছেন সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।
বুধবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দাঁড়িয়ে তাপসের বক্তব্য উপস্থাপন করেন তিনি। এ সময় তিনি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের অংশ বিশেষপাঠ করেন। পরে তিনি বলেন, এ ধরনের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত।
পরে প্রধান বিচারপতি 'আমরা আগে দেখি' এই বলে আশ্বাস দেন।
পরে আদালত থেকে বের হয়ে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম।
তিনি বলেন, এটা বড় রকমের অবক্ষয়। এজন্য আমরা প্রধান বিচারপতির কাছে গিয়েছিলাম। আদালত বলেছেন, তারা দেখবে। আমরা প্রত্যাশা করছি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এটি দেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। এই বক্তব্যে বিচার বিভাগ শুধু নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষ মনক্ষুণ্ন হয়েছে। সারা দেশের মানুষ তাকিয়ে থাকে এই বিচার ব্যবস্থার জন্যে। বিচারকদের কথা শুনলে গ্রামের একজন চাষীও মনে করেন সেখানে ন্যায় বিচার পাবো।
ব্যারিস্টার আমীর বলেন, মেয়র তাপস সুশীল সমাজ সম্পর্কেও কটাক্ষ করে কথা বলেছেন। বারের সিনিয়র আইনজীবীদের নিয়েও কটাক্ষ করেছেন। বিচার বিভাগকে হেয় করেছেন। এই অধিকার তিনি কোথায় পেয়েছেন? এটা অত্যন্ত উদ্ধতপূর্ণ। তার এ বক্তব্য আদালত অবমাননা।
আদালতে ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম বলেন, মেয়র তাপস বলেছেন,মনটা চায় আবার ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসি। যেখানে মুগুর দেয়ার সেটাও জানি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম। মশিউজ্জামান (বারের গত নির্বাচনের সাব কমিটির প্রধান) কে আমরা মনে করতাম, ওরে বাবা, কী জানি ফেরেস্তা আসছে। সবচেয়ে বড় চোর হলো মশিউজ্জামান। যে সব সুশীল আমাদেরকে বুদ্ধি দিতে যাবেন সেই সকল সুশীলদের আমরা বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেবো।
গত রোববার বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস।
ব্যারিস্টার আমীর বলেন, তার এই বক্তব্যে আনফরচুনেটলি। এ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা বক্তব্য ভালো করে পড়ে দেখি।