প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করে বিএনপি এক দফা বাস্তবায়ন করতে চায় কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর সড়ক ভবনে বারৈয়ারহাট রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন শেষে বুধবার সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন- এটি মুখ ফসকে বলেছে। যিনি শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি বিএনপির কোনো সাধারণ কর্মী নন। জেলার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি যা বলেছেন সেটা বিএনপিরই কথা।
তিনি বলেন, ২৭ দফা, ১০ দফা নয়, এক দফায় এসেছে তারা। তাহলে কি ধরে নেব-শেখ হাসিনাকে হত্যা করে তারা এক দফা বাস্তবায়ন করতে চায়। এ ব্যাপারে বিএনপি কী বলে সেটা শুনতে চাই।
শেখ হাসিনাকে হত্যায় বিএনপির মৌন সম্মতি আছে, এটা স্লিপ অফ টাং নয় বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও ভালোভাবে নেননি। কিন্তু বিএনপির কোন দায়িত্বশীল নেতা এ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেননি।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। যারা নির্বাচন প্রতিরোধ করতে আসবে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।
এ সময় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন হওয়ার পর সমালোচনা করেন তারা কিভাবে নির্বাচন করছে।
তিনি দাবি করেন বিএনপি দলীয় পরিচয় গোপন করে সব সিটি নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে।
ঢাকায় বিারটিসির গাড়িতে আগুন ও পুলিশের ওপর হামলা প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি নৈরাজ্য করবে, সন্ত্রাস করবে এটা তাদের পুরনো স্বভাব। উদ্ভূত পরিস্থিতি বলে দেবে কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। আর রাজনীতির একটা ভাষা আছে। রাজনৈতিকভাবে সেটা মোকাবেলা করব। আমরা সহিংসতায় যাব না।
এর আগে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে বারৈয়ারহাট রামগড় সড়কের প্রশস্তকরণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রনয় ভার্মা, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।