ছাত্রলীগ করায় বড় ছেলেকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন পটুয়াখালী কলাপাড়ার স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা। এ ঘটনা ইতোমধ্যেই সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
কলাপাড়া উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাসেল মোল্লা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘প্রিয় কলাপাড়াবাসী আসসালামু আলাইকুম, আমার ছেলে আলিফ মাহমুদ রুদ্র সে আমার সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত হওয়ার কারণে তাকে আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করলাম। আজ থেকে আমার পরিবারের কোনো সদস্যদের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নাই। আমি নিজেও কোনো রাজনীতি দলের সঙ্গে জড়িত নাই, আগামীতে কোনো দলের সঙ্গে জড়িত হব না।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কলাপাড়া ইসমাইল তালুকদার টেকনিক্যাল কলেজ থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন আলিফ মাহমুদ রুদ্র। বর্তমানে কলাপাড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন রুদ্র।
তার বাবা কলাপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। রুদ্রর চাচা রফিকুল ইসলাম কলাপাড়া পৌর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা রাসেল মোল্লা বলেন, ‘আমি আমার ছেলের জ্বালায় অতিষ্ট হয়ে গেছি, আমি আগে রাজনীতি করতাম, আমি রাজনীতিকে এখন পছন্দ করি না। আমার ছেলে ছাত্রলীগের রাজনীতি করুক সেটা আমি চাই না। এজন্য আমি তাকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেছি। খুব শীঘ্রই কাগজ-কলমে তাকে ত্যাজ্য করা হবে।’
ছাত্রলীগ নেতা আলিফ মাহমুদ রুদ্র বলেন, ‘আমি আমার বাবার বাসাতে থাকি না, আমি ছোটবেলা থেকেই ছাত্রলীগকে পছন্দ করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে বেঁচে থাকতে চাই। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি করি এজন্য আহত হয়েছি কয়েকবার। পরিবারের সঙ্গে আমার অনেক আগে থেকেই ভালো সম্পর্ক নেই। আমি ছাত্রলীগের নিবেদিত প্রাণ।’
পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ত্যাজ্য করার বিষয়টি এটা তাদের পারিবারিক বিষয়। তারপরেও আলিফ মাহমুদ রুদ্র যদি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে থাকে তবে তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই তাকে মূল্যায়ন করা হবে। লাখ লাখ ছাত্রলীগের কর্মী বাংলাদেশে রয়েছে, তাদের বাবারা গৌরব করেন তার সন্তানদের নিয়ে কারণ তার ছেলে ছাত্রলীগ করে। কিন্তু ছাত্রলীগ করার কারণে বাবায় ত্যাজ্য করার ঘটনা বিরল।’