সিটি করপোরেশন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, গাজীপুরসহ আসন্ন সব সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। তার ধারাবাহিকতা আগামী জাতীয় নির্বাচনেও থাকবে। এসব নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আহ্বান জানাচ্ছি।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মঙ্গলবার এই কর্মসূচির আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
নির্বাচনে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কেউ আসুক বা না আসুক জাতীয় নির্বাচনেও একই ধারা বজায় থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। তবে কেউ নির্বাচনে বাধা দিতে এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে।’
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আসুন; দেখুন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কাকে বলে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে হত্যার মিশনে মাঠে নেমেছে বিএনপি। এটাই তাদের এক দফা। ১৪ বছরে জনগণের সাড়া না পেয়ে শেখ হাসিনাকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে ষড়যন্ত্রের পথে নেমেছে বিএনপি। শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও জনপ্রিয়তা তাদের জন্য কাল হয়েছে। বিএনপি বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায়।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের প্রতি প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কোনো নেতা যদি খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দিত তখন আপনাদের কী অনুভূতি হতো?
‘সারাদেশের মানুষ গত ২৪ ঘণ্টায় কর্মীদের অনুভূতি বুঝেছে। ১৯৭৫ আর ২০২৩ এক নয়। বিএনপির এটা অনুধাবন করা উচিত। সারাদেশ গর্জে উঠেছে। শেখ হাসিনার ওপর হামলা হলে কী করবে! আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চুপচাপ বসে থাকবে না।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি চায় সংঘাত, অস্থিতিশীলতা, অশান্তি ও রক্তপাত। আর আওয়ামী লীগ চায় নির্বাচন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে। নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কারো সাথে সংঘাত, পাল্টাপাল্টি সংঘাতে যাব না। আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করব এই অপশক্তিকে। এই অপশক্তিকে বাংলার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে। এজন্য আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে। আমাদের ভুল-ত্রুটির জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন প্রমুখ।