কোনো পুলিশ সদস্য মাদক ও দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত থাকলে তাকে কোনো ধরনের ছাড় দেয়া হবে না। কোনো পুলিশ সদস্যের অপরাধের দায়ভার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী বহন করবে না।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন মঙ্গলবার নৌ-পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
নৌ-পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই মতবিনিময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আইজিপি। তিনি বলেন, ‘নৌ-পুলিশ অল্প সময়ের মধ্যে নৌপথে যাত্রী, নৌযান মালিক ও সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে; এটা সত্যিই প্রশংসনীয়।’
আইজিপি দেশের নৌপথের নিরাপত্তা এবং মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে নৌ-পুলিশকে আরও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে প্রত্যাশা নিয়ে নৌ-পুলিশ গঠন করেছেন সেই প্রত্যাশা পূরণে আরও ভালোভাবে কাজ করতে হবে। কাজের মধ্য দিয়ে নিজেদের ভালো কাজের রেকর্ড ভাঙতে হবে।
‘পুলিশের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে। তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা দিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। পুলিশি সেবা পেতে মানুষ যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে সচেষ্ট থাকতে হবে।’
পুলিশ প্রধান বলেন, সামগ্রিকভাবে পুলিশ ভালো কাজ করছে। অতীতে যেখানে প্রায় ৯০ ভাগ ক্লু-লেস মামলার রহস্য উদঘাটিত হতো না সেখানে বর্তমানে প্রায় ৯৫ ভাগ ক্লু-লেস মামলার রহস্য উদঘাটিত হচ্ছে। পুলিশ সদস্যদের আন্তরিকতা, নিষ্ঠা এবং মামলার তদন্তে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ায় এটা সম্ভব হয়েছে।’
আইজিপি নৌ-পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ ঘুরে দেখেন। তিনি নৌ-পুলিশ কন্ট্রোল রুমের কার্যক্রম পরিদর্শন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।