বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিলেটে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ

  • প্রতিবেদক, সিলেট   
  • ২৩ মে, ২০২৩ ১৫:৩৫

মনোনয়ত্র জমা দেয়ার সময় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে শতাধিক নেতাকর্মী ছিলেন। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় শ্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের অনেককে।

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে বিশাল শোডাউন নিয়ে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে যান আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনের সিটি করেপারেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোনোপ্রকার মিছিল বা শোডাউন করা যাবে না। প্রার্থী ৫ জনের অধিক সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ বা জমা দিতে পারবেন না।

মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে শতাধিক নেতা-কর্মী ছিলেন। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় শ্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের অনেককে।

এ ব্যাপারে সিলেট সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদির বলেন, ‘আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী ও সাংবাদিকরা এখানে উপস্থিত ছিলেন। এতে নির্বাচন কমিশনের ভেতরে ও বাইরে ভিড় লেগে যায়। তবে কার্যালয়ের বাইরে কোনো শোডাউন করা হয়েছে কি না খেয়াল করিনি।’

প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় ৫ জনের বেশি লোক সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি যাতে সবাই মেনে চলেন এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন সতর্ক রয়েছে।’

তবে নির্বাচনী আচরণিবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমি গুটিকয়েক নেতা-কর্মী নিয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে গিয়েছি। সেখানে বাইরে অনেক কর্মী সমর্থক ছিলেন। তাদের আমি নিয়ে যাইনি।’

মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় আনোয়ারুজ্জামানের সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।

২১ জুন ইভিএমে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবারই মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৫ মে পর্যন্ত। ১ জুন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।

মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৭ জন মেয়র পদপ্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আনোয়ারুজ্জামান ছাড়া অন্যরা হলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলনের মাহমুদুল হাসান, জাকের পার্টির জহিরুল আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবদুল হানিফ কুটু, আবদুল মান্নান খান ও সামছুন নুর তালুকদার।

২০০২ সালে প্রতিষ্ঠার পর সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রথম ও দ্বিতীয় নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। ২০১৩ সালে তৃতীয় ও ২০১৮ সালে চতুর্থ নির্বাচনে বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। গত ৪টি নির্বাচনেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে। অন্য দলীয় বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সামান্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়তে পারেননি।

এবার বিএনপিদলীয় প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর