বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী কেন জামুকার চেয়ারম্যান, হাইকোর্টের রুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৩ মে, ২০২৩ ১৩:২০

রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু বলেন, ‘একই ব্যক্তি দুই জায়গার প্রধান হওয়ার কারণে জামুকা থেকে যে সুপারিশ করা হয়, সেই সুপারিশই গৃহিত হয়। তার মানে যিনি তদন্তকারি, আবার তিনিই বিচারক। এটা ন্যায় বিচার নীতির পরিপন্থী। এ কারণে আমরা ওই আইনটি চ্যালেঞ্জ করেছি। আদালত শুনানি নিয়ে সেই আইনটা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে।’ 

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) চেয়ারম্যান হিসেবে পদাধিকার বলে নিয়োগ সংক্রান্ত আইন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

এ আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।

আদেশের বিষয়টি মঙ্গলবার নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সেলিম আজাদ।

আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু বলেন, ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২২ এর মাধ্যমে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। যেখানে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী নিজেই তার চেয়ারম্যান আর মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সচিব তার সদস্য। এখন জামুকার প্রধান একটি কাজ হলো গেজেটভুক্ত যে সমস্ত মুক্তিযোদ্ধা আছেন তাদের মধ্যে কেউ যদি তালিকাভুক্ত না হয়ে থাকেন তাহলে তার বিষয়ে তদন্ত করে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করবেন।

‘অথচ যিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আবার তিনি নিজেই জামুকার চেয়ারম্যান, আবার মন্ত্রণালয়েরও প্রধান। একই ব্যক্তি দুই জায়গার প্রধান হওয়ার কারণে জামুকা থেকে যে সুপারিশ করা হয়, সেই সুপারিশই গৃহিত হয়। তার মানে যিনি তদন্তকারি, আবার তিনিই বিচারক। এটা ন্যায় বিচার নীতির পরিপন্থী। এ কারণে আমরা ওই আইনটি চ্যালেঞ্জ করেছি। আদালত শুনানি নিয়ে সেই আইনটা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে।’

একই সঙ্গে বগুড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা নবাব আলীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করে জামুকার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে এবং তাকে বেতন ভাতা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আইন সচিব, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিট আবেদন থেকে জানা যায়, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা নাওয়াব আলী ১৯৬৭ সালে তৎকালীন পাকিস্তান পুলিশে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি অস্ত্র লুট করে সম্মুখ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যা যুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর গৌরবগাঁথা হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশের প্রকাশিত বইয়েও স্থান পায়।

বীরত্বের স্বীকৃতি হিসেবে সরকার গত ২০০৫ সালে তাকে মুক্তিযোদ্ধা সনদ প্রদান করেন এবং ওই বছরেই তার নাম গেজেটভুক্ত হয়। তিনি নিয়মিত সম্মানী ভাতাও পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর জামুকার ৮১ তম সভায় তার গেজেটটি বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়।

ওই সুপারিশ অনুসারে মন্ত্রণালয় চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি তার গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তিনি তার গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপন, ভাতা বন্ধ ও জামুকার চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসাবে মন্ত্রী ও সচিবের নিয়োগ সংক্রান্ত আইনের সংশ্লিষ্ট বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন।

এ বিভাগের আরো খবর