বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নওগাঁয় মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ

  • প্রতিনিধি, নওগাঁ    
  • ২৩ মে, ২০২৩ ১২:৪০

মাদ্রাসার সুপার শরিফ উদ্দীন মাজহারি বলেন, ‘মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীসহ কয়েকজন ছাত্রী এবং অভিভাবক সহকারী শিক্ষক হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ বেশকিছু অভিযোগ মৌখিকভাবে দিয়েছেন। বিষয়টি মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

নওগাঁর রাণীনগরে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

গত রোববার ক্লাস চলাকালে এক ছাত্রীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা।

এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সোমবার মাদ্রাসার কয়েকজন ছাত্রী ও অভিভাবক মাদ্রাসা সুপারের কাছে মৌখিক অভিযোগও করেন।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম হারুনুর রশিদ হারুন। তিনি উপজেলা সদরের আল-আমিন দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা) হিসেবে কর্মরত আছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই শিক্ষক মাদ্রাসায় বেশ কিছুদিন ধরেই ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করে আসছেন। গত রোববার এক ছাত্রীর শরীর নিয়ে অশ্লীল কথাবার্তাসহ বিভিন্নভাবে তাকে যৌন হয়রানি করলে ঘটনাটি শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকায় জানাজানি হয়। এরপর শুরু হয় ওই শিক্ষককে নিয়ে নানা সমালোচনা।

ভুক্তভোগী এক ছাত্রী জানিয়েছে, রোববার ক্লাসে এক ছাত্র তাকে বিরক্ত করলে সে তাকে আঘাত করে। এ সময় ওই শিক্ষক তাকে বকাঝকা শুরু করেন। একপর্যায়ে ওই শিক্ষক তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থান নিয়ে অশ্লীল কথা বলেন। পরে বিষয়টি সে মাদ্রাসার আয়া ও ম্যাডামকে এবং মাদ্রাসা থেকে বাড়ি গিয়ে পরিবারকে জানায়। এরপর সোমবার মাদ্রাসার সুপারকে মৌখিকভাবে জানিয়েছে সে।

আরেক ছাত্রী জানিয়েছে, শিক্ষক হারুন বেশ কিছুদিন ধরে তাকেসহ মাদ্রাসার অনেক ছাত্রীকে নানাভাবে যৌন হয়রানি করেছেন।

হয়রানির শিকার ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে এসে বিষয়টি আমাকে জানায়। লোক লজ্জার ভয়ে আমরা কাউকে বলতে চাইনি। কিন্তু ঘটনাটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। একজন শিক্ষক যদি ছাত্রীদের সঙ্গে এমন আচরণ করেন তাহলে শিক্ষার্থীরা কি শিখবে। মাদ্রাসায় এসব ঘটনা বন্ধ করাসহ ওই শিক্ষকের ব্যবস্থা হওয়া দরকার।’

অভিযুক্ত শিক্ষক হারুনুর রশিদ হারুন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কোনো ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করিনি। আমি প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছি। শিক্ষার্থীদের স্নেহের মাধ্যমে শাসন করেছি। ওই ছাত্রী আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে সেটি সঠিক নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই মেয়েটির মাথায় সমস্যা আছে। আর তার কথা শুনে আমার প্রতিপক্ষ আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’

এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার শরিফ উদ্দীন মাজহারি বলেন, ‘মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীসহ কয়েকজন ছাত্রী এবং অভিভাবক সহকারী শিক্ষক হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ বেশকিছু অভিযোগ মৌখিকভাবে দিয়েছেন। বিষয়টি মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্তকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ‘আল-আমিন মাদ্রাসায় ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর