আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঐতিহ্যগতভাবেই বিএনপি একটি খুনির দল। তাদের খুনি চরিত্র বার বার উন্মোচিত হয়েছে।
সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে এই বিবৃতি দেয়া হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রকাশ্য জনসভায় সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির মধ্য দিয়ে বিএনপির হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির নীলনকশা আবারও দেশের মানুষের কাছে প্রমাণ হয়েছে।
‘ক্ষমতায় থেকে তারা বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে ২১ আগস্ট নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। বিরোধী দলে থেকেও তারা খুনের রাজনীতি অব্যাহত রেখেছে। তারা বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২১ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হত্যা, ক্যু, সন্ত্রাস, যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক এবং লালন-পালনকারী বিএনপিকে এদেশের জনগণ আর রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায় না। বাংলাদেশের জনগণ দ্রুতই গণবিচ্ছিন্ন বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ থেকে নির্বাসনে পাঠাবে।
‘বন্দুকের নলের মুখে অসাংবিধানিক পন্থায় অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চায় বলেই তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভণ্ডুল করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রায় দেড় কোটি ভুয়া ভোটারের তথাকথিত ভোট ব্যাংক নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের পথে ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের নৈতিক শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। সে সঙ্গে ভুল রাজনীতির কারণে জনগণ দ্বারা বার বার প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় বিএনপি এখন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেও ভয় পায়।’
আওয়ামী লীগের এই দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ উদার গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে। বাংলাদেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুসংহত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
‘গণমাধ্যমের অবারিত স্বাধীনতার সুযোগে বিএনপি নেতারা প্রতিদিন টেলিভিশন টক-শো এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিষোদগার করে চলেছেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিএনপি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করলেও দেশের জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।
‘জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং দেশের জনগণ আবারও বিপুল ভোটে বিজয়ী করে শেখ হাসিনাকে জনগণের সেবা ও দেশ পরিচালনার সুযোগ দেবে।’