সরকারি খাদ্যগুদামে জায়গার অভাবে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় বোরো চাল সংগ্রহ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গুদামে চাল সরবরাহ করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ চালকল মালিকরা।
গুদামে চাল ঢোকাতে না পারায় চালকলর মালিকেরা হাটবাজার থেকে ধান কেনাও বন্ধ করে দিয়েছেন। এর প্রভাব পড়ছে সরাসরি ধানের বাজারদরের ওপর। ধানের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকেরাও বিপাকে পড়েছেন।
উপজেলার চান্দাইকোনা সরকারি খাদ্যগুদাম সূত্র জানায়, এবার উপজেলায় বোরো চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৪৭৭ মেট্রিক টন। চাল সরবরাহ করার জন্য সরকারের সাথে ১১০টি মিল ও চাতাল মালিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। ৮ মে চাল সংগ্রহ অভিযানের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তৃপ্তি কণা মণ্ডল।
চান্দাইকোনার শহিদুল ইসলাম নামে এক কৃষক বলেন, ‘মিল মালিকরা ধান কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। যে কারণে বাজারে মন্দা দেখা দিয়েছে। এতে আমার মতো শত শত কৃষক ধানের ন্যায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’
রায়গঞ্জ উপজেলা মিল-চাতাল মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল হান্নান খান বলেন, ‘খাদ্য গুদামে দিনের পর দিন অপেক্ষা করছে চালভর্তি অর্ধশত ট্রাক। অথচ চাল আনলোড হচ্ছে না। এতে মিল মালিকরা চরম ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।’
তার দাবি, দ্রুত গুদাম থেকে চাল অন্যত্র সরিয়ে নতুন চাল আনলোড করা হোক। অন্যথায় চাল সংগ্রহ অভিযান মুখ থুবড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
চান্দাইকোনা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গুদামের সাধারণ ধারণক্ষমতা আড়াই হাজার মেট্রিক টন। গুদাম থেকে অন্য কোনো খাদ্যগুদামে খাদ্যশস্য স্থানান্তর করা যাচ্ছে না। এ কারণে গুদামে জায়গা না থাকায় চালকলের মালিকদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারপরও চলতি মৌসুমে ১৯ মে পর্যন্ত ১ হাজার ৪৭৭ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।’
সমস্যা সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বলেও জানান তিনি।
রায়গঞ্জের ইউএনও ও উপজেলা খাদ্য কমিটির সভাপতি তৃপ্তি কণা মণ্ডল বলেন, ‘গুদামে জায়গা খালি করে চাল তোলা হবে। এছাড়া আপাতত কোন উপায় নেই।’