নেত্রকোনায় জামাতার পুতার (শিল) আঘাতে শ্বশুরের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল জব্বার নামের ওই ষাটোর্ধ ব্যক্তি মারা যান। তাছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন স্ত্রী ও শ্বাশুড়ি।
এর আগে শনিবার রাতে নেত্রকোনা শহরের নাগড়া মধ্যপাড়া এলাকায় জামাতা এটিএম নাজমুশ সাকলাইন অপুর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
নিহত আব্দুর জব্বারের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বেড়া গ্রামে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১১ বছর আগে অপুর সঙ্গে আব্দুল জব্বারের মেয়ে সাবিকুন্নাহারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই অপু তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দেয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। কিছুদিন ধরে তার অত্যাচার এবং শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চরমে পৌঁছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে শনিবার বিকেলে অপুর বাসায় আসেন আবদুল জব্বার ও তার স্ত্রী হামিদা খাতুন। রাতে কথা বলার সময় জামাতা ও শ্বশুরের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর রাত ১১টার দিকে অপু ঘরে থাকা মসলা বাটার পুতা (শিল) দিয়ে প্রথমে তার শ্বশুর আব্দুল জব্বারের মাথায় আঘাত করে। এ সময় তার শাশুড়ি হামিদা ও স্ত্রী সাবিকুন্নাহার বাধা দিতে চাইলে তাদেরকেও আঘাত করে অপু। পরে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আবদুল জব্বারকে পরদিন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার বেলা ১২টার দিকে তিনি সেখানে মারা যান।লুৎফুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত বলেন, প্রথম ঘটনার সময় নিহতের ছোট ভাই আব্দুল খালেক একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। ওই অভিযোগটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। অভিযুক্ত নাজমুশ সাকলাইন অপুকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’