প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের হত্যার হুমকির প্রতিবাদে নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। মিছিলের পরে নেত্রকোনা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেন তারা।
সোমবার দুপুরে নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করেন।
মিছিলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান লিটন নেতৃত্ব দেন।
মিছিলটি শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মী ছোটবাজারে জেলা বিএনপির কার্যালয় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেন।
তবে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ দাবি, এ হামলায় তাদের কেউ সম্পৃক্ত নন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে হুমকির ঘটনায় আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান লিটন বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে আদালতে একটি মামলাও দায়ের করেছেন।
আদালতের বিচারক মামলার অভিযোগটি আমলে নিয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসিকে একদিনের মধ্যে এফআইআরভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী এ্যাডভোকেট শামছুর রহমান লিটন (ভিপি লিটন) তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত এক জনসভার বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানোর হুমকি দেন। তার এ বক্তব্য অত্যন্ত মর্যাদাহানিকর, কুরুচিপূর্ণ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। পরদিন তার বক্তব্যের উদ্ধিৃতি দিয়ে সংবাদপত্রে রিপোর্টও প্রকাশিত হয়।
লিটন বলেন, ‘ওই ব্যক্তির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার অনুসারী কর্মী হিসেবে আমি মারাত্মক সংক্ষুব্ধ ও মর্মাহত হয়েছি এবং মামলা দায়ের করে তার শাস্তি দাবি করেছি।’
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুর রহমান বলেন, ‘আদালত মামলার অভিযোগটি একদিনের মধ্যে এফআইরভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সে মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।’