রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। সোমবার বেলা ২টায় রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
মেয়র প্রার্থী লিটন আওয়ামী লীগ সভাপতিণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে নির্বাচন অফিসের সামনে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে মেয়রপ্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হিসেবে আজ মনোনয়নপত্র দাখিল করলাম। আমি জানি নগরবাসীর আরও কিছু আশা-আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ রয়েছে। সুযোগ পেলে আগামী ৫ বছরে সেগুলো পূরণ করতে চাই।
‘রাজশাহীতে শিল্পায়নের অবস্থা ভালো না। কর্মসংস্থানের তেমন সুযোগ নেই। এখানে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর ব্যাপারে সচেষ্ট থাকব। আমার নির্বাচনী ইশতেহারে ১ নম্বরে থাকবে কর্মসংস্থানের বিষয়টি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা নিয়ে আমি রাজশাহীকে কর্মমুখর নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে লড়াই করছি। কাউকেই ছোট করে দেখছি না। যারা মেয়র পদে প্রার্থী আছেন তাদের সঙ্গে ভোটযুদ্ধে যাওয়ার জন্য যা যা প্রস্তুতি নেয়া দরকার সবই আমরা নিয়েছি। আরও খুশি হতাম যদি বিএনপির প্রার্থী থাকতো। তাহলে তাদেরকে আমরা সমুচিত জবাব দিতে পারতাম।’
মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রফেসর আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য বেগম আখতার জাহান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিনাতুন নেসা তালুকদার, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, নাইমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু ও মোস্তাক হোসেন, প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার, রাজশাহী বার এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইব্রাহিম হোসেন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে প্রথমবার মেয়র হন খায়রুজ্জামান লিটন। ২০১৮ সালে রাসিক নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। এবার মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য রোববার বিকেলে মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। শেষ কর্মদিবস শেষে রাত ৯টায় নগর ভবনে থেকে বেরিয়ে যান তিনি।