পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় নদীতে নুড়ি পাথর সংগ্রহ করতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আহত পাথর শ্রমিক পলাশের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
প্রাণ হারানো ৩৫ বছর বয়সী পাথর শ্রমিক পলাশ বগুলাহাটি গ্রামের বাসিন্দা।
পলাশের চাচা রফিকুল ইসলামের বরাত দিয়ে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ মিয়া জানান, রোববার দুপুর ২টার দিকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ভুতিপুকুর গ্রামের সীমান্তের সাও নদীতে বেশ কয়েকজন সহযোগীর সাথে নুড়ি পাথর সংগ্রহ করছিলেন পলাশ। একসময় ভারতের টেপরাভিটা ১৯৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের টহল দল নদীর পাড়ে থাকা চা বাগান থেকে শ্রমিকদের উদ্দেশে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
এতে একটি গুলি পলাশের পেটের বাম পাশে লাগলে পানিতে পড়ে যান তিনি। অন্য শ্রমিকরা পালিয়ে গেলেও কয়েকজন শ্রমিক ঘুরে এসে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় প্রথমে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করায়। চিকিৎসক তার অবস্থা গুরুতর দেখে দ্রুত রংপুর মেডিক্যালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রাকিবুল হাসান জানান, পলাশের পেটের বাম পাশে গুলির আঘাত ও ক্ষত পাওয়া গেছে। রোববার বিকেল ৩টার দিকে তাকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। পেটের বাম পাশে গুলি লেগে পেছন দিক দিয়ে গুলিটি বেরিয়ে গেছে।
পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল যোবায়েদ হাসান বলেন, ‘মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। ঘটনার পর থেকেই বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফের সাথে পতাকা বৈঠক করা হবে।’