বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কূটনীতিকদের দেয়া চিঠিতে কী লিখলেন জাহাঙ্গীরের মা

  • প্রতিনিধি, গাজীপুর    
  • ২২ মে, ২০২৩ ০৯:৩১

ইংরেজিতে লেখা জায়েদা খাতুনের চিঠিটি চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত-হাইকমিশনারকে দেয়া হয়েছে বলে জাহাঙ্গীরের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ কয়েকটি দাবি বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানানোর আহ্বান জানিয়ে কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দিয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন।

চিঠিতে তিনি কূটনীতিকদের মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করারও অনুরোধ জানিয়েছেন।

রোববার কয়েকটি দেশের দূত ও হাইকমিশনারের কাছে ইংরেজিতে লেখা এক চিঠিতে জায়েদা খাতুন এসব দাবি জানান।

ইংরেজিতে লেখা জায়েদা খাতুনের চিঠিটি চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত-হাইকমিশনারকে দেয়া হয়েছে বলে জাহাঙ্গীরের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

তিন পাতার চিঠিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০২৩ পর্যবেক্ষণ করা এবং অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ বেশ কয়েকটি দাবি বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও বিদেশি কূটনীতিকদের দ্বারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

কূটনীতিকদের কাছে পাঠানো জাহাঙ্গীরের মায়ের চিঠি। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে সিটি নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন নির্বাচন কমিশন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, রিটার্নিং অফিসারসহ অন্যদের কাছে একই দাবিতে চিঠি দেন।

এ চিঠির বিষয়ে জায়েদা খাতুনের ছেলে ও তার প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী সাবেক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি চিঠির সত্যতা স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক গাজীপুর সিটি নির্বাচন করতে আমাদের পক্ষ নিয়ে কেউ একজন চিঠিটা দিয়েছে। এ বিষয়ে আপনাদের পরে বিস্তারিত বলব।’

জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘আমরা চাই একটা অবাধ, সুষ্ঠু, গঠনমূলক নির্বাচন যেন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশনার বলেছেন সুষ্ঠু ভোট করবে। তিনি বলেছেন সিসি ক্যামেরা দিবে, ইভিএমে ভোট হবে। যার ভোট সে দিবে, যে ভোট পাবে তার নামে ডিক্লিয়ার হবে। আমরাও এটাই চাই। উনারা যে কমিটমেন্ট করছে ওইটার বাস্তবায়ন চাই।’

কূটনীতিকদের পাঠানো চিঠিতে জায়েদা খাতুন বলেন, “আমি জায়েদা খাতুন, আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ‘টেবিল ঘড়ি’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমি গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলমের মা।

‘আপনারা সবাই অবগত আছেন যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আমার ছেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও নির্বাচিত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বাতিল করা হয়েছে।

আমার ছেলের প্রতি যে অন্যায়-অবিচার করা হয়েছে, তার প্রতিবাদ করতে ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য আমি লড়াই করছি। গাজীপুরে আমি আমার নির্বাচনী প্রচারণায় নামলেই লাখো শান্তিপ্রিয় মানুষ আমার প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।

‘আমি ৯ মে প্রতীক পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনী আইন অনুযায়ী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান আমাকে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বাধা দিচ্ছেন, আমার জনসংযোগে হামলা করছেন এবং আমার নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত পোলিং এজেন্ট এবং সম্ভাব্য পোলিং এজেন্টদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন। ব্যক্তিগত গুন্ডা ও প্রশাসনের ছদ্মবেশে বিশেষ পুলিশ পরিচয়ে তাদের ভয় ও হুমকি দেয়া হচ্ছে।’

জায়েদা খাতুন অভিযোগ করেন, ‘অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান তার সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে আমার গণসংযোগের সময় আমার গাড়িবহরে বাধা দিচ্ছেন এবং তার পক্ষে (নৌকার) উসকানিমূলক স্লোগান দিচ্ছেন এবং পুলিশ প্রশাসনের সদস্যরা অযথা বিভিন্ন স্থানে আমার নির্বাচনী প্রচারণাকে অবৈধভাবে বাধা দিচ্ছে ও হয়রানি করছে। আমি এসব ঘটনা জানিয়ে একাধিকবার নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ করেছি। এ বিষয়ে আমি ১৮ মে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’

চিঠিতে জায়েদা আরও বলেন, ‘সর্বশেষ গত ১৮ মে বিকেলে মহানগরীর টঙ্গীর ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে আজমত উল্লা খানের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার গাড়িবহরকে বাধা দেয় এবং আমার নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত গাড়িটি ভাঙচুর করে।’

এসব কারণে উল্লেখ করে বিদেশি কূটনীতিকদের মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ এবং সেনা মোতায়েনের ব্যবস্থা করার জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে চাপ সৃষ্টির অনুরোধ জানিয়েছেন জায়েদা।

এ বিভাগের আরো খবর