বিএনপি জানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরে কবরে শুয়ে আছে এবং তারা এখন এই মৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে জীবিত করতে চায় বলে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে রোববার এ মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই শান্তি সমাবেশ হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চাপাবাজি অনেক করেছেন। শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি। আমার কাছে ভিডিও আছে। তারা বলে, এক দফা শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। তাদের ষড়যন্ত্রের দূর্গ চুর্ণবিচুর্ণ করে দেয়া হবে।
‘তারা (বিএনপি) জানে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরে গেছে। কবরে শুয়ে আছে। মৃত তত্ত্বাবধায়ককে জীবিত করতে চায় তারা। শেখ হাসিনার পদত্যাগ চায়, কারণ শেখ হাসিনার সঙ্গে নির্বাচনে কোনদিন তারা জিততে পারবে না। এখন তাদের ভয় শেখ হাসিনা। সেরা আতঙ্ক শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা থাকলে তাদের ক্ষমতায় ফেরার সুযোগ নেই। সেজন্য তারা শেখ হাসিনার অস্তিত্ব নির্মূল করতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদেরও এক দফা, এক দাবি- বিএনপির সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদি, দুবৃত্তিপরায়ণ রাজনীতিকে কবরস্থানে পাঠাবো। আর শান্তি সমাবেশ নয়, আজ থেকে প্রতিরোধ সমাবেশ চলবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৯ তারিখে রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিএনপির জেলা আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাদ বলেছেন, আর ২৭ দফা নয়, ১০ দফা নয়, এক দফা-শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। ফখরুলের মনেও সেই কথা। এই রাজশাহীতে বিএনপির সাবেক মেয়র ৭৫ এর ১৫ আগস্টের হাতিয়ার গর্জে ওঠার কথা বলেছিল।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা আজকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার জন্য লন্ডনের নির্দেশে ফরমায়েশে দলে দলে তারা লন্ডনে যাচ্ছে। শেখ হাসিনাকে হত্যা করাই এদের এক দফা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদেরও এক দফা-অপশক্তির আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে হবে। খুনি জিয়ার উত্তরসূরি, ১৫ আগস্ট, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, জঙ্গিবাদের ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। বাংলাদেশে হত্যার রাজনীতি তারা শুরু করেছে। তারা ক্ষমতায় গেলে লাশের পাহাড় গড়ে তুলবে। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে রক্ষা করতে হবে।
‘এই ষড়যন্ত্র মুক্তিযুদ্ধের সকল পক্ষের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িক চেতনা,সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, শেখ হাসিনার উন্নয়ন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ শেখ হাসিনার উদ্যোগের বিরুদ্ধে। আজকে এই অপশক্তি আবারও বাংলাদেশকে দুর্নীতির পাহাড় বানাতে চায়। আত্মসাৎ, অর্থপাচার করে বাংলাদেশকে লুটপাট করার হাওয়া ভবন করার চক্রান্ত করছে।’
তারেক রহমান বাইরে বসে বসে ফন্দি আঁটছেন, চক্রান্ত করছেন বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, নির্বাচন করবেন না সেটা আমরা জানি। কিন্তু নির্বাচন ঠেকাতে আসলে বাংলার জনগণকে নিয়ে আমরা প্রতিহত করব। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে বাধা দিতে দেব না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে সারা বাংলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করতে হবে। সংবিধানের বাইরে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। হতে দেয়া হবে না। শেখ হাসিনার পদত্যাগ মামাবাড়ির আবদার।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।