তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক’দিন পর পর বিএনপির নানা আন্দোলনের ঘোষণা আসলে ‘কাগুজে বাঘ’ এবং ‘খালি কলসি বাজে বেশি’র মতো। তাদের জোটের আকারও বাড়ে আবার কমে। অ্যামিবার মতো নিজেরা ভাগ হয়ে আবার দ্বিখণ্ডিত-ত্রিখণ্ডিত হয়।
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
‘বিএনপি সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে’- এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই এক দফা বহু আগে থেকেই তারা দিয়েছে। বিএনপি মাঝেমধ্যেই এক দফায় যায়, আবার দফা বাড়ে। কিছুদিন পরপর এই ঘটনা ঘটে। আগেও তারা এরকম ১০ দফা, ১৪ দফা, ১২ দফা, সবশেষ ১৭ দফা দিয়েছিল।
‘বিএনপির এই সার্কাস আমরা বহুদিন ধরে দেখে আসছি। আর মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যের সার্কাসও মানুষ দেখছে। মানুষের কাছে এগুলো এখন হাস্যরস আর কৌতুক।’
একটি দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদনের উল্লেখ করে দেশের ওপর ‘স্যাংশন’ ইস্যুতে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে পত্রিকা লিখেছে তাদের জিজ্ঞাসা করুন। আমার এ বিষয়ে কোনো কিছু জানা নেই। আরেকটি কথা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। ৫১ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়তা করে আসছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকেও প্রশিক্ষণসহ নানা সহায়তা দিয়ে আসছে।
‘আমরা মনে করি, আমাদের যারা উন্নয়ন সহযোগী তাদের সহযোগিতায় দেশ আজ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অত্যন্ত প্রোফাউন্ড ডেভলপমেন্ট পার্টনার।’
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা আর পাল্টা-নিষেধাজ্ঞা এগুলো দিয়ে কোনো লাভ হয় না। তা ইতোমধ্যে প্রমাণ হয়েছে। ইরানের বিরুদ্ধে অনেকেই স্যাংশন দিয়ে রেখেছে। তাই বলে ইরানের সরকার তো পড়ে যায়নি। বহু বছরের স্যাংশনেও কিউবাকে টলানো যায়নি, সরকারও পরিবর্তন হয়নি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে বহু স্যাংশন। সেগুলো অমান্য করেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং অনেকেই তাদের কাছ থেকে পণ্য আমদানি করছে।’
ভোগ্যপণ্যের অবৈধ মজুতদারি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে পণ্যের কোনো সংকট নেই। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য, কতিপয় ব্যবসায়ী এগুলোকে নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টায় থাকে। কিছু আড়ৎদার মজুতদার অস্বাভাবিকভাবে তাদের মুনাফা লাভের জন্য দাম বাড়ায়। এটি অনৈতিক, আইনবিরুদ্ধ।’
তথ্যমন্ত্রী এর আগে রাজনীতি গবেষক এইচএম মেহেদী হাসান গ্রন্থিত ‘সাবাস বাংলাদেশ’, ‘ছোটদের বঙ্গবন্ধু’ ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘ভালোবাসার ফুল’ শীর্ষক তিনটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। এ সময় তিনি বই তিনটির লেখক এবং প্রকাশক অনার্য পাবলিকেশনস ও অর্জন প্রকাশনকে অভিনন্দন জানান। গ্রন্থকার মেহেদী হাসান ও প্রকাশক আবু হাশেম সরকার মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।