নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আবেদন হাইকোর্ট বেঞ্চে জমা দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে রোববার সকালে আবেদনটি জমা দেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
এ আবেদনে ২৫৬ আইনজীবীর ওকালতনামা জমা দেয়া হয়।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কায়সার কামাল বলেন, ‘আমরা বেগম খালেদা জিয়ার আবেদন শুনানির জন্য হাইকোর্ট বেঞ্চে সাবমিট করেছি। এখন নিয়ম অনুযায়ী হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিতায় আসলে এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।’
কায়সার কামাল ছাড়াও আইনজীবীর তালিকায় রয়েছেন জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ও বর্ষীয়ান আইনজীবী ব্যারিস্টার জমীর উদ্দিন সরকার, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী, আবদুল জব্বার ভূইয়া, গাজী কামরুল ইসলামসহ ২৫৬ আইনজীবী।
গত ১৯ মার্চ কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৩ মে দিন ঠিক করে আদালত।
নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া হাইকোর্টে আবেদন করেন।
গত ১০ মে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ সেলিম ভূঁইয়ার আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনটি ফেরত দেন।
অন্যদিকে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনও এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। এ ছাড়া তার পক্ষে কারাগার পরিবর্তন চেয়েও আবেদন করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। তাদের মধ্যে এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মৃত্যুবরণ করায় তাদের মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার নামে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।
২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।