বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সীমান্তে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ৯ মাস পর মরদেহ ফেরত

  • প্রতিনিধি, পঞ্চগড়    
  • ২১ মে, ২০২৩ ১১:১৩

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা জানান, মরদেহ পাওয়ার পর সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পঞ্চগড়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় গরু চোরাকারবারী সন্দেহে আব্দুস সালাম নামের এক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যার নয় মাস পর তার মরদেহ বাংলাদেশে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।

শনিবার সন্ধায় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী সীমান্তের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে মরদেহ দেশে আনা হয়।

প্রথমে মরদেহটি তেঁতুলিয়া মডেল থানার পুলিশ গ্রহণ করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে রাতেই নিহতের পরিবার মরদেহটি হাতে পায়।

রোববার সকালে সালামের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন সম্পন্ন করা হবে।

প্রাণ হারানো ৩৫ বছর বয়সী আব্দুস সালাম পঞ্চগড় জেলা সদরের সাতমেরা ইউনিয়নের কাহারপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

সালামের বড় ভাই আলিম হোসেন বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে ছোট ভাইয়ের মরদেহ নিতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করি। সকলেই অপেক্ষায় ছিলাম কবে তার মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হবে। দীর্ঘ ৯ মাস পর ভারতের সাড়া পেয়ে আমি একজন ইউপি সদস্যকে সাথে নিয়ে গত ১৬ মে ভারতে যাই ছোট ভাইয়ের মরদেহ দেশে আনার জন্য। শনিবার তার মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হয়েছে।’

পঞ্চগড় সদরের সাতমেরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগসহ হাইকমিশনে যোগাযোগ করে আসছিলাম। অবশেষে ৯ মাস পর মরদেহটি প্রশাসনের সহায়তায় দেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।’

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা মরদেহ ফেরত আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মরদেহ পাওয়ার পর সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

গত ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট রাতে বাংলাদেশি যুবক সালাম রাজগঞ্জ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার চাউলহাটি সংলগ্ন বড়ুয়াপাড়া গ্রামে কয়েকজন যুবকের সাথে প্রবেশ করলে স্থানীয়দের পিটুনিতে মারা যান। পরদিন বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে সালামের পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন। এর পর ভারতীয় পুলিশ মরদেহটি ভারতের একটি হাসপাতালের হিমঘরে রেখে দিলে দীর্ঘ ৯ মাস পর বাংলাদেশে ফেরত দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর