বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অন্তঃসত্ত্বার পেটে স্কুলশিক্ষকের লাথি

  • প্রতিনিধি, শেরপুর   
  • ২০ মে, ২০২৩ ১৮:৪৭

ভুক্তভোগীর স্বামী মিজু মিয়া বলেন, ‘প্রতিবেশীর কবুতর নিয়ে ঝগড়ার শুরু। এক পর্যায়ে ফারুক মাস্টার এসে আামাকে মারধর শুরু করেন। এ সময় আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আমাকে বাচাঁতে আসলে ফারুক মাস্টার তার পেটে লাথি দেন। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে শ্রীবরদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

শেরপুরে এক স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথি মেরে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। অসুস্থ হয়ে ওই নারী এখন হাসপাতালে ভর্তি।

শুক্র‍বার বিকেলে শ্রীবরদীর ভেলুয়া ইউনিয়নের চাংপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর নাম রওশনারা বেগম। স্বামী মিজু মিয়ার সঙ্গে তিনি ভেলুয়ার চাংপাড়া এলাকায় থাকেন।

অভিযুক্ত ফারুক মিয়া ভেলুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

ভুক্তভোগীর স্বামী মিজু মিয়া বলেন, “আমার পাশের বাড়ি রুবাইদুল্লার দুটি কবুতর একমাস আগে ফারুক মাস্টারের বাড়িতে যায়। কবুতরগুলো আনতে রুবাইদুল্লাহ ফারুক মাস্টারের বাড়িতে যান; সঙ্গে আমাকেও নিয়ে যান।

“ফারুক মাস্টারের বাড়ি গিয়ে তার ছেলের কাছে কবুতরগুলোর মালিকানা দাবি করেন রুবাইদুল্লাহ। ফারুকের ছেলে বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘১ মাস ধরে দুটো কবুতর কোত্থেকে যেন এসেছে।’ কিন্তু ফারুক মাস্টারের স্ত্রী কবুতর দুটি তার নিজের বলে দাবি করে বলেন, ‘এগুলো আমার বাপের বাড়ি থেকে এনেছি।’ এ নিয়েই ঝগড়ার শুরু।”

তিনি বলেন, ‘পরে ফারুক মাস্টার এসে আমাকে মারধর শুরু করেন। এ সময় আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে এলে ফারুক মাস্টার তার পেটে লাথি দেন। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে শ্রীবরদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে জেলা হাসপাতালে রেফার করা হলে শনিবার সকালে তাকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

এ ঘটনার সুবিচার চান মিজু মিয়া।

থানায় অভিযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই হাসপাতালে আমার বউকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অভিযোগ দিতে পারিনি। আজ থানায় অভিযোগ দেব।’

এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা হাসপাতালের আরএমও ডা. খায়রুল কবির সুমন বলেন, ‘রোগীর চিকিৎসা চলছে। তাকে কিছু পরীক্ষা দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী চিকিৎসা দেয়া হবে। আমরা আশা করছি মা ও গর্ভের বাচ্চার কোনো সমস্যা হবে না।’

এ বিষয়ে ফারুক মাস্টারের মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে তার স্ত্রী রিসিভ করেন। জানতে চাইলে মারধরের কথা অস্বীকার করেন তিনি।

শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর