সাভারে চায়না ফাস্ট ম্যাটেলজিক্যাল গ্রুপ কোম্পানির গুদামে ডাকাতিতে নেতৃত্ব দেন গুদামের সিকিউরিটি ইনচার্জ মো. আলামিন। তার পরিকল্পনা ও সমন্বয়ে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৬৩ হাজার ৩৯৫ টাকা মূল্যের মিটার নিয়ে যায় ডাকাত দল।
ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ওই ডাকাতির মূল পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের অভিযোগে আলামিনসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৯০ লাখ টাকা মূল্যের মিটার ও মিটারের পিতলের অংশ ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে পাওয়া আট লাখ টাকা।
শনিবার দুপুরে ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোবাশ্শিরা হাবীব খান এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ১১ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে সাভারের ভরারী বটতলা এলাকায় কোম্পানিটির গুদামে ডাকাতি হয়।
শুরুতে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ চুরির মামলা করে। পরে গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে দেখতে পায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
মোবাশ্শিরা হাবীব জানান, কোম্পানির দুটি গুদাম রয়েছে। একটি গুদাম থেকে অপরটির দূরত্ব দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার।
যেখান থেকে মিটারগুলো ডাকাতি করে নেয়া হয়, সেটার দায়িত্বে ছিলেন অপর একজন।
ওই দিন রাতে সিকিউরিটি গার্ডও ছিল। দুজনকে মারধর করে এবং বেধে রেখে মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়া হয়।
ডাকাতরা চলে যাওয়ার সময় সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআরও নিয়ে যায়।
ডাকাতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুজন। ছবি: নিউজবাংলা
ডাকাতিতে সরাসরি জড়িত সাতজন এবং দুজনকে ডাকাতির মালামাল বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার করা হয়।
মোবাশ্শিরা হাবীব জানান, ডাকাতরা কেউ কাউকে চিনত না। তবে সবাইকে চিনে সিকিউরিটি ইনচার্জ আলামিন। তিনিই বাকিদের সংগ্রহ করে ডাকাতির কাজে নিয়ে আসেন।
ডাকাতি কীভাবে হবে, কারা থাকবে, কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে, বিক্রি করা হবে কার কাছে এর সবই পরিকল্পনা করেছিলেন আলামিন।
মিটার ভাঙারি দোকানে বিক্রি
চায়না প্রতিষ্ঠানের মিটারগুলো ব্যবহার করে ওয়াসা। ফলে ডাকাতির পর মিটারে থাকা পিতলের অংশ কেজি দরে বিক্রি করে দেয় আলামিন।
মিটারে থাকা প্লাস্টিকের অংশ কোথাও বিক্রির সুযোগ না থাকায় ফেলে দেয় তারা।
ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোবাশ্শিরা হাবীব খান বলেন, ‘আলামিন অপর একটি গুদামের দায়িত্বে ছিলেন। কিছু মিটারের পিতলের অংশ আট লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। সেই টাকাও আমরা উদ্ধার করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর কারও এ ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’