মাসখানেক পর পবিত্র ঈদুল আজহা। এখন থেকেই নগরে পশুর হাট নিয়ে কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। প্রতি বছর নগরীর তিনটি স্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি চাহিদানুযায়ী কয়েকটি অস্থায়ী পশুরহাটও পরিচালনা করে চসিক। পশুর চাহিদা বৃদ্ধির কারণে গতবারের চেয়ে এবার প্রায় আড়াইগুণ বেশি অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমতির জন্য জেলা প্রশাসনে আবেদন জানিয়েছে চসিক। নগর পুলিশের মতামত সাপেক্ষে চসিককে সিদ্ধান্ত জানাবে জেলা প্রশাসন।
গত বছর ১০টি অস্থায়ী হাটের আবেদন করে ৪টির অনুমতি পেয়েছিল চসিক। তবে ইজারার নিয়োগের পরও শেষ পর্যন্ত হাট বসায় তিনটি। পশুর চাহিদা বৃদ্ধি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মতামতের ভিত্তিতে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার প্রায় আড়াইগুণ বাড়িয়ে ২৩টি অস্থায়ী হাটের আবেদন করেছে চসিক। ১৪ মে জেলা প্রশাসনে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে চসিক।
এদিকে নগরে স্থায়ী পশুর হাটের সংখ্যা তিনটি। চসিকের চাহিদামতো ২৩টি অস্থায়ী হাটের অনুমোদন পেলে এবার নগরে পশু কেনাবেচা হবে ২৬টি হাটে।
চসিক সূত্রে জানা যায়, ২৩টি অস্থায়ী হাট বসানোর বিষয়ে গত সপ্তাহে চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি জেলা প্রশাসনে পাঠায় সংস্থাটি।
চিঠিতে বলা হয়, সরকারি পঞ্জিকা অনুযায়ী ঈদুল আজহার সম্ভাব্য সময় অনুযায়ী ২০ শে জুন থেকে ২৯ শে জুন ১০ দিনের জন্য এসব হাট বসানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে চসিক।
চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গতবার ১০টি অস্থায়ী হাটের আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্ত এবার পশুর চাহিদা বৃদ্ধি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মতামতের ভিত্তিতে ২৩টি অস্থায়ী হাট বসানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কয়টার অনুমতি দেয় দেখা যাক।’
চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, এবার চসিকের আওতাধীন ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের কর্ণফুলী গরু বাজার (নূর নগর হাউজিং এস্টেট), ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের সল্টগোলা রেলক্রসিং সংলগ্ন হাট, ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টি কে গ্রুপের খালি মাঠ, ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের খেঁজুরতলা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন খালি মাঠ, স্টিল মিল বাজার, পূর্ব হোসেন আহম্মদ পাড়া সাইলো রোডের পাশে টিএসপি মাঠ, উত্তর পতেঙ্গা সিটি করপোরেশন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় মাঠ, মুসলিমাবাদ টি কে গ্রুপের খালি মাঠ এবং মুসলিমাবাদ রোডের সিআইপি জসিমের খালি মাঠ, ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের চর চাক্তাই চসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে খালি জায়গায়, ২৬ নম্বর উত্তর হালিশহর ওয়ার্ডের গলিচিপা পাড়া বারুনী ঘাটা ও গাজী হালদা খালি জায়গা এবং এবই ওয়ার্ডের বড়পোল সংলগ্ন গোডাউনের পরিত্যক্ত মাঠ, ৩ নম্বর পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের ওয়াজেদিয়া মোড়, কয়লার ঘর ক্রিয়েটিভ স্কুলের সামনে, বকসু নগর মসজিদ সংলগ্ন মাঠ, মধ্যম শহীদ নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, পশ্চিম শহীদ নগর কালু কোম্পানির বাড়ির পাশে, কামরাবাদ সামাদপুর মোড় এবং হাজী পাড়া বারেক শাহ মাজার সংলগ্ন মাঠ, ৫ নম্বর মোহরা ওয়ার্ডের জান আলী স্টেশন সংলগ্ন রেলওয়ের পরিত্যক্ত মাঠ, দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের আউটার রিং রোডস্থ সিডিএ বালুর মাঠ, ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের বাকলিয়া এক্সেস রোডের পাশে খালি মাঠ এবং ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের চৌধুরী হাট এলাকায় অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
তাছাড়া চসিকের স্থায়ী তিন পশুর হাট হলো সাগরিকা পশুর বাজার, বিবিরহাট গরুর হাট ও পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার। সাগরিকা ও পোস্তারপাড়ে ইাজারাদার নিয়োগ করা হলেও এখনও বিবিরহাটে ইজারাদার নিয়োগ করা যায়নি বলে জানান তিনি।