বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বনেতা: তথ্যমন্ত্রী

  • প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম   
  • ১৯ মে, ২০২৩ ১৮:৫৭

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘গাড়ি বসে গেলে ওটাকে মাঝে মধ্যে স্টার্ট দিতে হয়, বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচিও হচ্ছে সেরকম; বসে যাওয়া গাড়ি স্টার্ট দেয়ার মতো। কারণ বিএনপি দলটাই তো বসে গেছে। মাঝে মধ্যে স্টার্ট দেয়, যাতে জং ধরে না যায় সেজন্য আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়। এছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার চট্টগ্রামে বেসরকারি ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সেশন ওপেনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, ‘আপনি আমাদের আইডল, আমার মেয়েদেরও আইডল।’

“যাদের বুদ্ধি, চোখ-কান, শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তির সঙ্গে বোধশক্তি আছে, তারা এগুলো বুঝতে পারে। এখন বিএনপি নেতারা কেন দৃষ্টিহীন এবং শ্রবণশক্তিহীন সঙ্গে বোধশক্তিহীনও হয়ে গেল, সেটি আমার বোধগম্য নয়।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘গাড়ি বসে গেলে ওটাকে মাঝে মধ্যে স্টার্ট দিতে হয়, বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচিও হচ্ছে সেরকম; বসে যাওয়া গাড়ি স্টার্ট দেয়ার মতো। কারণ বিএনপি দলটাই তো বসে গেছে। মাঝে মধ্যে স্টার্ট দেয়, যাতে জং ধরে না যায় সেজন্য আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়। এছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়।

‘আমার মনে হয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রিজভী সাহেবসহ বিএনপির নেতারা বিশ্বময় যে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রহণযোগ্যতা, তার প্রতি বিশ্বনেতৃবৃন্দের বা বিশ্ব অঙ্গনের যে আস্থা, সেটি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউকে সফর করেছেন। তিনি অত্যন্ত সফল একটা সফর করে এসেছেন। যে বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, সেই বিশ্বব্যাংক নিজেরাই বাংলাদেশকে ২.২৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব করেছে। বিভিন্ন প্রকল্পে আমাদের ৩০ বিলিয়ন ইয়েন সাহায্য করবে জাপান।’

সরকার দেশে-বিদেশে আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়ে এখন ভোটারবিহীন নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে- বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে গত ১৬ মে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে প্রস্তাব এনে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। সেই প্রস্তাবে বাংলাদেশের সাথে কো-স্পন্সর হয়েছে ৭১টি দেশ। এরপরও কি কারও বলা উচিৎ জননেত্রী শেখ হাসিনা কিংবা সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বময় কি আছে? এটি বলার কোনো প্রয়োজন নেই।”

এর আগে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সেশন ওপেনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পাঠদান আর সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য নয়। একজন শিক্ষার্থী বিশ্বাঙ্গনে যাতে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারে, বিশ্বময় সে যাতে দাপিয়ে বেড়াতে পারে, সে যাতে তার যোগ্যতাকে বিশ্ব অঙ্গনে তুলে ধরতে পারে, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় একটি শিক্ষানিকেতন।

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শেখাতে হবে কিভাবে জীবন গড়তে হবে, কিভাবে জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে হবে, কিভাবে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে, কিভাবে উজান ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বহুমাত্রিক মেধার বিকাশ ঘটাতে হবে, তাহলেই সেটি বিশ্ববিদ্যালয়। না হলে তার নাম বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া শ্রেয় নয়।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বড় কিংবা ছোট সেটি মুখ্য বিষয় নয়; সেখানে কোয়ালিটি এডুকেশন দেয়া হয় কিনা সেটিই মুখ্য। জীবন সম্পর্কে মানুষের ধারণা আজ পাল্টে গেছে। জীবন শুধু নিজের জন্য নয়, জীবন পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য। স্বপ্ন শুধু নিজের জন্য দেখা নয়, সমাজ ও দেশের জন্যও স্বপ্ন দেখতে হয়।

‘একজন ব্যক্তি তখন সত্যিকার অর্থে ভালো মানুষ হয়, যখন তিনি তার চরিত্রের মধ্যে মেধা, মূল্যবোধ দেশাত্মবোধ ও মমত্ববোধের সমন্বয় ঘটাতে পারেন। তাহলেই তিনি সত্যিকার অর্থে একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে দাঁড়ায়।

‘সেটি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষাটা দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় যদি শেখায় তোমাকে ভালো পাশ করতে হবে, পাশ করে একটা বড় চাকুরি পেতে হবে, কিংবা ব্যবসা প্রশাসনে পড়াশোনা করে একজন বড় এক্সিকিউটিভ হতে হবে, তারপর অনেক অর্থ উপার্জন করতে হবে, তাহলে শুধু নিজের জন্য শিখবে, নিজের জন্য পড়বে; দেশ, সমাজ ও জাতি তার কাছ থেকে খুব বেশি কিছু পাবে না।’

ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘কোনো কিছুই প্রতিবন্ধকতা নয়; প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে ভয় ও প্রচেষ্টার অভাব এবং স্বপ্ন দেখতে না পারা। স্বপ্নের সাথে প্রচেষ্টাকে যুক্ত করতে হবে। অভিভাবকদের স্বপ্ন দেখাতে হবে তাদের সন্তানদের। স্বপ্নের বাস্তবায়নের জন্য তারা যাতে প্রচেষ্টাকে যুক্ত করে সেটিই তাদের শিক্ষা দিতে হবে। তাহলে সব স্বপ্ন নাহলেও অনেক স্বপ্ন বাস্তবে রূপায়িত হবে।’

ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্টাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্টার সজল কান্তি বড়ুয়া।

এ বিভাগের আরো খবর